দিল্লীর মসনদ থেকে বিজেপিকে হঠাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা মেনেই উত্তরপ্রদেশে মহাজোট গড়েছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদল। এই সপা-বসপা-রালোদ মহাজোটই এবার বিজনােরে বিজেপিকে সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই মুহূর্তে শাসক দলে গোষ্ঠীকোন্দল এবং জাঠ কৃষকদের ক্ষোভই মূল সমস্যার কারণ।
যোগী রাজ্যে এবার ত্রিমুখী লড়াই। বিজেপি প্রার্থী ভারতেন্দ্র সিংয়ের লড়াই মহাজোট প্রার্থী বহুজন সমাজ পার্টির মালুক নাগর ও কংগ্রেসের নাসিম উদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে ভারতেন্দ্র সিং হারিয়ে দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির শাহনওয়াজ রানাকে, ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে। ২০১৪-এর ভোটের হিসেবে ধরলে মােট পাঁচ লাখের বেশি ভােট মহাজোটের। সর্দার বাজারে এমন কথা মুখে মুখে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভারতেন্দ্র সিং পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯১৩ ভােট। শাহনওয়াজ রানা পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ১৩৯ ভােট।
নাজিরাবাদের দোকানি রাকেশ শর্মার কথায়, ভারতেন্দ্রকে নিয়ে বিজেপির মধ্যেই ক্ষোভ। আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরই দলের বিধায়ক মৌসুমী চৌধুরী। রাকেশ শর্মা বলেছেন, চিনিকলে বকেয়া না মেটানোর বিষয়টিও ভারতেন্দ্রর বিরুদ্ধে যেতে পারে।’ বিজনোর রেল স্টেশনের দোকানি ফারহানের কথায়, ‘এখানে বিজেপির সঙ্গে লড়াইটা মহাজোটের। তবে জাঠ ভোটারদের মধ্যে বিভাজন-সমস্যা দেখা দিতে পারে।’
প্রসঙ্গত, বিজনােরের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র। মিরপুর, চাঁদপুর, পুরকাজি, বিজনোর ও হস্তিনাপুর। ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫ জন। এই নির্বাচনে নাগর এসসি-এসটিদের তিন লক্ষ, গুজ্জর সম্প্রদায়ের এক লক্ষ এবং পাঁচ লক্ষ ভোটারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কংগ্রেসের সিদ্দিকি আবার বিএসপির মুসলিম মুখ ছিলেন। ১৯৯১ সালে আগ্রা থেকে বিধায়ক হন তিনি। মায়াবতীর ক্যাবিনেটে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০১৭-তে বিএসপি প্রধান তাকে দল থেকে তাড়িয়ে দেন দল-বিরোধী কাজ করার জন্য। এরপর সিদ্দিকি কংগ্রেসে যোগ দেন। এখন তিনি বিধান পরিষদের সদস্য।