আজ থেকে শুরু হল লোকসভা নির্বাচন। এই ভোটের আবহেই বহাল রয়েছে বিরোধীদের ভাঙন আর সেই সঙ্গে শক্ত হচ্ছে মমতার প্রতি মানুষের সমর্থন। বুধবার নাকাশিপাড়া যুব তৃণমূলের কর্মিসভায় নাকাশিপাড়া হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রাক্তন সভাপতি কমল চক্রবর্তী ও আরএসএসের নেতা কার্তিক মহান্ত সহ প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নাকাশিপড়া তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কণিষ্ক চট্টোপাধ্যায়, ব্লক যুব তৃণমূলের কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রশিদ মণ্ডল, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দত্ত, নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ব্রজেশ্বর রায়।
গতকাল প্রায় ১০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এই রাজ্য তৃণমূল সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের থেকে বেশি। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এরকম দলবদল নাকাশিপাড়া বেথুয়াডহরি-১ ও২ পঞ্চায়েতে বিজেপিকে অনেকটা দুর্বল হবে বলে মনে করছে তৃণমূল।
সদ্য তৃণমূলে আসা কমল চক্রবর্তী বলেন, “আমি নাকাশিপাড়া হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রাক্তন সভাপতি ছিলাম। আমরা যে ভাবনা নিয়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ যোগদান করেছিলাম তার কিছুই পাইনি। বিজেপি আমাদের মতো মানুষদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিতে চায়। আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি। উন্নয়নের কোনও কাজ নেই, ওই সংগঠনের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে আমরা যে ভুল করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত করতে আমরা তৃণমূলে যোগদান করলাম”।
আব্দুল রশিদ বলেন, “আমাদের দলীয় প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর নির্দেশে নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতের বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে। তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের যে মিথ্যাচার এবং দুর্নীতি করেছে সভার মাধ্যমে তা আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরেছি। আমাদের দলীয় প্রার্থী জেতানোর রণকৌশল ঠিক হয়েছে এদিনের সভায়। তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের দেখে আরএসএস ও নাকাশিপাড়ার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রাক্তন সভাপতি সহ প্রায় ১০০ জন এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন”।