এতদিন দামামা বাজছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শুরু হয়ে গেল নির্বাচনী যুদ্ধ। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় দেশের ১৮টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯১টি লোকসভা আসনে শুরু হল ভোট গ্রহণ পর্ব। ভোট দেবেন ২০ লক্ষ নতুন ভোটার।
এই তালিকায় আছে রাজ্যের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাও। কোচবিহারে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায়চৌধুরী ও বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায়। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দশরথ তিরকে। বিজেপির হয়ে লড়ছেন জন বারলা। কংগ্রেসের মোহনলাল বসুমাতা ও বাম প্রার্থী মিলি ওঁরাও।
কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও ভোট গ্রহণ চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ একটি সাংবাদিক স্মমেলনে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, সকাল ১১ টা পর্যন্ত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ৩৮.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোচবিহারে ভোটদানের হার ৩৭.৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৩৮.৩ শতাংশ।
ভোট গ্রহণ প্রসঙ্গে সঞ্জয় বসু বলেন, ‘শীতলকুচিতে মহিলা ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর এসেছিল। সেখানে সেক্টর অফিসার যায়। এখন শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে’। রাজ্যের প্রথম দফায় কোচবিহারে একাধিক সঙ্ঘর্ষ ও ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বক্তব্য, ‘রসমন্ডাতে একটি বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর এসেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এখন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে ১৭৮টি ভোট পড়েছে’।
পাশাপাশি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে একাধিক বুথে ইভিএম বিভ্রাটের খবর এসেছে। ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, ‘যেখানে ইভিএম-এর সমস্যা হয়েছিল, তা পাল্টে দেওয়া হয়েছে’।
