[Total_Soft_Poll id=”2″]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই, নেতৃত্ব দানের ক্ষমতাকেই আদর্শ মানছে উত্তর প্রদেশের মোদী বিরোধী জোট। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোটে তাই সশরীরে না থেকেও প্রবলভাবে রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে তিনি মোদী বিরোধী মহাজোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই নেতৃত্বদানের ক্ষমতাকেই কার্যত আদর্শ মানছেন মুজফ্ফরনগরের বিজেপি বিরোধী জোটে থাকা শীর্ষ নেতারা। জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টি (সপা) স্পষ্টই জানাচ্ছে, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যাবতীয় গুণ রয়েছে। আরেক জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) জানিয়েছে, কেন্দ্রের মোদি বিরোধী মহাজোটে মমতা যথেষ্ট শক্তিশালী নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যাকে একপ্রকার আদর্শ মেনে দেশের সব অবিজেপি রাজ্যের মোদী বিরোধী স্লোগান আরও জোরদার করে গড়ে তোলা উচিত। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জোটের নেতারা বলছেন, গত পাঁচ বছরে মুজফ্ফরনগরের স্বার্থে কোনওরকম ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণই করেনি বিজেপি। তবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই লোকসভা আসনের ভোটচিত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার। ২০১৩ সালে এখানকার ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষের প্রভাব এই নির্বাচনে প্রাণপণ এড়ানোর চেষ্টা করছেন দু’পক্ষই।
স্থানীয়রা বলছেন, ২০১৩ সালের মুজফ্ফরনগর গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার ফলে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে জাঠ এবং সংখ্যালঘু ভোট স্পষ্টই বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এবং যার সুফল পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু এই বছর যাবতীয় হিসেব নিকেশ সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ। উত্তরপ্রদেশ পরিবহণ নিগমের কর্মী শচীন দুবের কথায়, এবারের নির্বাচনে জাঠ এবং মুসলিমরা একটি ছাতার তলাতেই চলে এসেছেন। যার ফলে ২০১৪ সালের মতো সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তাস ব্যবহার করে ভোটব্যাঙ্ক বিভাজনের পথ আপাতদৃষ্টিতে বন্ধ। মুজফ্ফরনগরের বিরোধী জোটের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে যা স্বীকার করে নিলেন সমাজবাদী পার্টির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কাজি আরশাদ। বললেন, জাঠ এবং মুসলমানের মধ্যে আর কোনও বিরোধ নেই। ২০১৩ সালের ওই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল লোকসভার নির্বাচনী ফলাফলে। এবারে আর তা হতে দেওয়া যাবে না। এবং এই পরিপ্রেক্ষিতেই চলে আসছে মমতা প্রসঙ্গ।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
কাজি আরশাদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্পূর্ণ গুণ বজায় রয়েছে। যেভাবে তিনি বিরোধী মহাজোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা কল্পনাতীত। চৌধুরী অজিত সিং বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তভাবে কেন্দ্রের মোদী বিরোধী মহাজোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্যেই মোদী বিরোধী এই জোট প্রক্রিয়া ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। যার সার্বিক প্রভাব পড়তে চলেছে লোকসভা নির্বাচনে। সব মিলিয়ে মমতার নেতৃত্বে সারা দেশে মোদীবিরোধী জোট সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে।
