বিগত ৮ বছর ধরে চলা তৃণমূল জমানায় সব দিক থেকেই ‘এগিয়ে বাংলা’। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে গোটা রাজ্য জুড়েই বইছে উন্নয়নের জোয়ার। ২০০৮ সালে যে মাটি থেকে প্রথম পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা, সেই সিঙ্গুরের মুখেও আজ হাসি ফিরে এসেছে। বাম জমানায় কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল যে সিঙ্গুরে, মমতা জমানায় সেখানেই আজ সুখে দিন কাটাচ্ছে কৃষকেরা। নেট দুনিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ‘সিঙ্গুর: সমৃদ্ধির মাটি’ নামের একটি ভিডিও। যাতে তৃণমূল সরকারের ঢালাও প্রশংসা করতে দেখা গেছে এলাকার কৃষকদের।
ভিডিওর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে শস্যশ্যামলা সিঙ্গুর। বাঁধানো পাকা রাস্তার দু’ধারে সারি সারি গাছ। জমিতে কৃষিকাজ করছেন কৃষকরা। প্রথমেই এক কৃষক সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘খারাপ ছিলাম আগে। চাষের ন্যায্য দাম পেতাম না। তৃণমূল সরকার আসতে চাষের ন্যায্য দাম পাচ্ছি। কৃষি মার্কেটটা হয়ে আমাদের খুবই ভাল হয়েছে। ধানও আমরা ভাল দামে বিক্রি করতে পেরেছি।’ আরেক কৃষক জানান, ‘যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আমাদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা অনেক আনন্দে চাষবাস করছি।’
[Total_Soft_Poll id=”2″]
শুধু কৃষিকাজে সহায়তা পাওয়াই নয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে আগের থেকে যে তাঁরা অনেকটাই সচ্ছল হয়েছেন, এ কথা নিজেরাই জানালেন এলাকার কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। বয়সে প্রবীণ একজন যেমন স্পষ্ট বললেন, ‘অর্থনৈতিক সচ্ছলতার কথা যদি জিগ্যেস করেন, তাহলে বলব, বর্তমান সরকার নানা ভাবে নানা দিক দিয়ে আমাদের চাষিদেরকে সহযোগিতা করছে। যেমন মাঝেমধ্যেই বিনা পয়সায় সার, বীজ ও আরও নানা ওষুধপত্র দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে।’ অন্য এক কৃষককেও এ কথা বলতে শোনা গেল, ‘সরকারের সহযোগিতায় আমরা এখন খুব ভাল আছি।’
ভিডিওর মাঝে এক আলুচাষি আবার জানালেন যে, ‘ঠিক আলু তোলার মুখে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে আমরা যেটুকু আলু পেয়েছি, তা কোল্ড স্টোরেজে রেখেছি। আগে বাজারে দাম ১২০ টাকা ছিল। এই সরকার আসার পর থেকে আমরা মোটামুটি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা দাম পাই।’ আরেকজনের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমরা চাষ করি, খাই। এখন বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় আমরা সেচের সুবিধা পেয়েছি। যেই থেকে সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই থেকে আমরা এখন খুব ভালই আছি।’ অর্থাৎ এর থেকেই স্পষ্ট যে, এই এলাকায় বাম জমানার তুলনায় এখন অনেকটাই ভাল আছেন অন্নদাতারা। বলা যায়, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে উঠে এসেছে এক টুকরো সিঙ্গুরের ছবি, যেখানে শাসকের রক্তচক্ষুর সামনে পড়ে জমি হারাতে হয় না কৃষককে। কৃষিকাজ করেই সুখে-শান্তিতে দিন কেটে যায় তাঁদের।
[Total_Soft_Poll id=”3″]