[Total_Soft_Poll id=”2″]
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করতে অনেক মা তাঁর সন্তানকে হারিয়েছেন। অসংখ্য মৃত্যু, আঘাত, সহ্য করেছে ভারতবাসী। তবে জালিয়ানওয়ানাবাগের মত নৃশংস ঘটনা খুব কম ঘটেছে। সেই জালিয়ানওয়ালাবাগের ঠিক একশো বছর পর ভারতীয়দের রক্ত, হাহাকার, স্বজনহারা কান্না-র জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ব্রিটেন। তবে তারা জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার একটা প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়াতেই এগোচ্ছে ব্রিটেন। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল, বৈশাখীর অনুষ্ঠানের জন্য অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে জমায়েত হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেখানে একটি সভা হচ্ছিল দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সত্য পাল ও সইফুদ্দিন কিচলুর দ্বীপান্তরের প্রতিবাদে। কর্নেল রেজিনাল্ড ডায়ার সেনাবাহিনীর শিখ, রাজপুত, গোর্খা ও বালোচ রেজিমেন্টের সেনাদের নিয়ে জালিয়ানওয়ালাবাগ ঘিরে ফেলেন। সবকটি প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর কাউকে সতর্ক না করে, পালানোর সুযোগ না দিয়ে শিশু, নারী নির্বিশেষে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। নারী ও শিশু-সহ শহীদ হয়েছিলেন প্রায় হাজার মানুষ। আহত হয়েছিলেন আরো অনেক। তার সঠিক হিসেবও পাওয়া যায়নি। মর্মান্তিক ও নৃশংস সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ হয় দেশে ও বিদেশেও।
বেশ কিছু বছর ধরেই বিশ্ব জুড়ে ক্ষমা চাওয়ার রাজনীতি অথবা বলা যায় কূটনীতির প্রচলন হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে এখন অনেকটা পরিসরই দখল করে নিয়েছে বাণিজ্য ও অর্থনীতি। ফলে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে যদি কালাচারাল রিলেশনটা বাঁচানো যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যে তার একটা প্রভাব পড়ে। যেমন হিরোশিমায় বিস্ফোরণের জন্য আমেরিকা ক্ষমা নিয়েছে।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড হাউস অফ কমন্সে এই অতীত ইতিহাসের লজ্জাজনক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ফিল্ড বলেন, “আমাদের সঙ্গে ভারতের এখনকার সম্পর্কটা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। তবে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিতে অতীতও মিলেমিশে আছে”। একশো বছর কেটে যাবার পর মনে হল ব্রিটেনের ক্ষমা চাওয়া উচিত! এতো বছর হয়ে গেল এই ঘটনার জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি ব্রিটেন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী জানান, এই ঘটনার জন্য ব্রিটেনের ‘সুগভীর অনুশোচনা’ রয়েছে।