[Total_Soft_Poll id=”2″]
আগে মোদীকে হিটলার বলেছেন। এবার বললেন আরও কড়া করে। রায়গঞ্জের সভা থেকে মোদীকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী নিজের প্রচার ছাড়া কিছু করেন না। নিজের নামে সিনেমা বানিয়েছেন। নিজের নামে দোকান বানিয়েছেন। এই ধরনের দুর্যোধন, দুঃশাসনের মন্ত্রীসভা আগে কখনও হয়নি ভারতবর্ষে। ফ্যাসিবাদের সম্রাট। ফ্যাসিবাদী সম্রাট। হিটলার বেঁচে থাকলে আজকে লজ্জায়, গলায় দড়ি কলসি নিয়ে আত্মহত্যা করতেন’।
সভার শুরু থেকেই মোদীর প্রসঙ্গে আক্রমণাত্মক ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাপ রে, কী সাংঘাতিক লোক। দাঙ্গার কথা ভুলে যাননি তো!’ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘বলছে ২০৪৭ সালে তাঁদের স্বপ্ন পুরণ হবে। এটা ২০১৯ সাল। পাঁচ বছর পরপর সরকার বদলায়। অথচ তাঁরা ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখছেন। মোদীবাবু তোমারও তো ১০০ বছর বয়স হয়ে যাবে। তখন তুমি কী করে স্বপ্ন দেখবে?’
বিজেপি সমস্ত শক্তি দিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে গায়ের জোরে নির্বাচন জিততে চায় অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছ। কাউকে সিবিআই দিয়ে, কাউকে ইডি দিয়ে। কারও বিরুদ্ধে আয়করের রেড করছ। আর নিজে নিজে একটা চোরেদের, সব নাটের গুরু বিজেপি পার্টি। চোরেদের সুরক্ষা দিচ্ছ। যত চোর ডাকাত ওই পার্টিতে আশ্রয় নিয়েছে’।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
রায়গঞ্জ এবং তার পরে ইসলামপুরের সভায় এনআরসি নিয়ে এ দিনও সরব ছিলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের সবাইকে তাড়াবে। অসমে দেখেছেন, কত জন আত্মহত্যা করেছে দুঃখে। পরিবার, সংসার তচনচ হয়ে গিয়েছে। বলছে ৫০ বছর, ১০০ বছর আগেকার শংসাপত্র দাও। আমি নিজে অসমে টিম পাঠিয়েছিলাম। কোনও দল লড়েনি। একমাত্র তৃণমূল লড়েছে।’ সেই সঙ্গেই মমতার হুঁশিয়ারি, ‘বলছে, বাংলায় এনআরসি করব। হাত দিয়ে দেখ। একটা বাংলার মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখ। ও সব জোর দেখা আছে। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট করে আর একটা ধাপ্পা। আপনাকে পাঁচ বছরের জন্য বিদেশি বানিয়ে দেবে। কেউ কী চায়? আপনার একটা একটা ঘর আছে সেটা কেড়ে নেবে। সব কেড়ে নেবে। তুমি কে হরিদাস ভাই?’ইসলামপুরে বলেন, ‘মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সবাই ভয় পায়। আমি ওকে ভয় পাই না। আমি সারা জীবন গুলির সঙ্গে লড়াই করে এসেছি। অনেক বন্দুক দেখেছি মোদীর বন্দুককে কেন ভয় পাব?’
