গাড়ি কমিশনের। তাতে ইলেকশন ডিউটির স্টিকারও লাগানো। কিন্তু গাড়ির সামনে বাঁধা বিজেপির দলীয় পতাকা। গাড়ির ভেতরে বসে থাকা ব্যক্তিদের গলায় বিজেপির উত্তরীয়। বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলে। এই ছবি ও সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই দানা বিঁধেছে বিতর্ক।
বুধবার বিজেপির পতাকা বাঁধা গাড়ি দেখে সংবাদমাধ্যম ছবি তুলতে শুরু করে। বুম এবং ক্যামেরা নিয়ে ওই গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতেই তৎপর হয়ে ওঠে কমিশনের গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো বিজেপি কর্মীরা। ক্যামেরা দেখেই মুখ লুকিয়ে ফেলেন চালক। গাড়িতে লেখা ‘অন ইলেকশন ডিউটি’ লাগানো স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে। পড়িমড়ি করে পালিয়ে যায় যুবকের দল। ঘটনার ছবি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় কমিশন ও বিজেপির মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘বাংলায় অমিত শাহকে নির্বাচনী আধিকারিক করে আনলেও কোনও লাভ হবে না’। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আসানসোলের নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম রায়।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপির প্রতি কমিশনের পক্ষপাতের চেহারাটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। এর আগে কমিশন পক্ষপাত করছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছেন দেশের ৬৬ প্রাক্তণ আমলা। বাংলায় তৃণমূল প্রথম থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিল। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই মুকুল রায়ের হুমকির পর রাতারাতি কোচবিহারের এসপিকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই বিজেপির প্রতি কমিশনের পক্ষপাতের ছবি সামনে এসেছিল। এদিনের ঘটনার পর সেটা প্রমান হয়ে গেল বলে দাবি তৃণমূলের।