প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তাকে হুমকি দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বলেছিলেন, ‘দেখে নেব’। ঠিক তারপরেই কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তাকে রাতারাতি বদলে দেয় কমিশন। গোটা ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কোনও ভিত্তি নেই। ওরা খামখেয়ালি আচরণ করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতেও, কেন্দ্রে শাসক দলের হয়ে যা ইচ্ছা তাই করছে কমিশন। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট।
এই প্রসঙ্গে অসন্তোষ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গত কদিনের ঘটনা পরম্পরা দেখলে যে কোনও লোকের মনেই সন্দেহ জাগবে যে কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। গত ৭ এপ্রিল কোচবিহারে সভা ছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। ওই মঞ্চ থেকে মুকুল রায়ের মতো বিজেপি নেতারা জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তাকে হুঁশিয়ারি দেন। বলেন দেখে নেবেন তাঁকে। তার পর পরই ভোটের মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সুপারকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলের কথামতো চলছে নির্বাচন কমিশন’। তৃণমূলের আরও বক্তব্য, নতুন যাঁকে পুলিশ সুপার করা হয়েছে সেই অমিত কুমার সিংহের কোচবিহার সম্পর্কে কোনও ধারনা নেই। ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে দায়িত্ব পেয়ে তিনি পরিস্থিতি ঠিকমতো সামলাতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এ কথা বলে কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে মঙ্গলবার গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশ্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অমিত সিংহকে পুলিশ সুপার পদে বসিয়েছে কমিশন। দুপুরে এ ব্যাপারে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্নে। তার কয়েক ঘন্টা পরেই কমিশনকে দীর্ঘ চিঠি লিখে এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল।
