তিনি ক্রিস কাউড্রে। ১৯৮৪ সালে ওয়াংখেড়েতে টেস্ট অভিষেক নেওয়া সেই ইংল্যান্ড ক্রিকেটারই নিলামের সঞ্চালক। অবশ্য এইটুকু বললে কিছুই বলা হয় না, ক্রিস্টোফার ওরফে ক্রিস হলেন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি কলিন কাউড্রের ছেলে। দু’দিন প্রো কবাডির নিলাম সামলেছেন দারুণ পেশাদারিত্বে। কাটা কাটা ব্রিটিশ ইংরজিতে স্মার্ট প্রেজেন্টেশন। কিন্তু এই মুম্বই থেকে টাইম মেশিনে চড়ে যদি ৩৫ বছর আগের বোম্বে শহরে চলে যাওয়া যায়? জায়গাটা যদি নরিম্যান পয়েন্টের ট্রাইডেন্ট হোটেল না হয়ে হত ১৯৮৪ সালের ওয়াখেড়ে স্টেডিয়াম? তা হলেই দেখা যাবে প্রো কবাডির সেই সঞ্চালক ভেঙে দিচ্ছেন কপিল দেবের স্টাম্প।
প্রো কবাডি লিগে নিলামের পরিচালনা করার ফাঁকেই মঙ্গলবার কথা বললেন ক্রিকেট, ভারত এবং অবশ্যই আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে। তিনি জানালেন, “আমার মতে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ফাইনাল হবে বিশ্বকাপে। কারণ দুটো দলেই খুব ভাল ভারসাম্য রয়েছে। ঘরের মাঠে খেলবে বলে ইংল্যান্ডের পক্ষে খুব সুবিধে। দেশের মাঠে উইকেট, পরিবেশ ইংল্যান্ডের পরিচিত। তা ছাড়া ওয়ান ডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ড এখন খুব ভাল খেলছে,’’। সঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু কম যায় না। ওরা দারুণ ভাবে উঠে এসেছে। তাই ফাইনালে ওঠার জন্য ভারতের সঙ্গে লড়াই হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার। সেই লড়াইয়ে আমার মতে জিতবে ভারত। তাই বলছি ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম ভারত লড়াই হবে।’’
ভিভের কথা বলতে গিয়ে এ দিনও শ্রদ্ধায় নীচু হয়ে আসে ক্রিসের মাথা। বলে দিলেন, ‘ভিভের মতো আত্মবিশ্বাস কারও মধ্যে দেখিনি। সেই সঙ্গে ব্যাটিং। রাসেল তো শুধু পাওয়ারে খেলে। ভিভ ছিল ব্যাটিংয়ের আল্টিমেট কথা। পাওয়ার, স্কিল, টেকনিক সব কিছুই সুপার্ব। ভিভ একটাই জন্মায়।’
রাসেলের থেকেও ক্রিস উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলিকে নিয়ে। কেন? তাঁর ব্যাখ্যা একেবারে সোজাসাপ্টা, ‘বিরাটই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। ক্লাস তো আছেই, সেই সঙ্গে ধারাবাহিকতা।’ অবশ্য আইপিএলে বিরাটের বেঙ্গালুরু টিমের দশাও অজানা নয় তাঁর। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, ‘বিরাটই বিশ্বকাপে ভারতের সেরা বাজি। বিশ্বকাপে যখন নামবে, তখন আইপিএলের কোনও প্রভাবই থাকবে না।’