বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙার সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘রাজ্যে ৪২-এর মধ্যে ৪২টি আসন জিতে বাংলাই এবার দিল্লীতে সরকার গড়বে। বাংলা দেখিয়ে দেবে, বাংলা যা পারে তা আর কেউ পারে না।’ গতকাল, সোমবারও একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঠিক একই সুরে তিনি বলেন, কেন্দ্রে পরবর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে বাংলা। শুধু তাই নয়। তাঁর দাবি, এ জন্য কংগ্রেস এবং বামেদেরকেও তৃণমূলের কাছে আসতে হবে।
এ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত আছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যুঝে উঠতে না পেরে বিজেপির শরণাপন্ন হচ্ছেন রাজ্যের কিছু কংগ্রেস নেতা। আর তাঁদের অনুরোধে কয়েকটি জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের সরিয়ে ফেলার তোড়জোড় করছে বিজেপি। এমনকী কোথাও কোথাও বিজেপি-আরএসএস লোকজন এনে কংগ্রেসের সভা ভরাচ্ছে। একই ভাবে বামেদেরও তীব্র নিন্দা করেন মমতা। তবে সেইসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এ রাজ্যের অনেক বাম নেতার নীতির প্রশ্নে বুদ্ধবাবু আপোসহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। উল্লেখ্য, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়েও লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। তাদের সমালোচনা উড়িয়ে মমতা বলেন, ‘ধুর ওদের কথা ছাড়ুন তো। রবীন্দ্রনাথের একটা গান মনে করিয়ে দিই, আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে…৷ ওদের একা দাম্ভিক মোদী থাকলেও আমাদের মধ্যে জনগনের নেতা অনেকে রয়েছেন৷ ভোটের পরে সব ঠিক করে নেব আমরা। আঞ্চলিক দলগুলি নিজেরা বসে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন।’ তবে সেইসঙ্গে তিনি এ কথাও জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্রে সরকার গঠনে এবার বাংলাই মুখ্য ভূমিকা নেবে বলে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের ৪২টি আসনের সবকটিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা জিতবেন বলে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী তিনি।