সাউদাম্পটনকে হারিয়ে চার দিন আগেই লিভারপুল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবলের শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করেছে। ছন্দে ফিরছেন মহম্মদ সালাহ। শুধু তা-ই নয়। জো গোমেজ, অক্সলাডে চেম্বারলিন ও অ্যাডাম লালানা ছাড়া সকলেই সুস্থ। তবুও ক্লপের মনে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে গত মরসুমে পোর্তোর বিরুদ্ধে ড্র।
গত মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে লিভারপুলের কাছে ০-৫ হারের দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করছে এফসি পোর্তোকে। আশ্চর্যজনক ভাবে উদ্বিগ্ন য়ুর্গেন ক্লপও। লিভারপুল ম্যানেজার ভুলতে পারছেন না অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় পর্বে পোর্তোর বিরুদ্ধে জিততে না পারার যন্ত্রণা। আজ, মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ জোসে মোরিনহোর প্রাক্তন ক্লাব।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ক্লপ বলেছেন, ‘‘নক-আউট পর্বে সব দলই প্রতিপক্ষ হিসেবে পোর্তোকে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা একেবারেই ওদের চাইনি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ফুটবল সম্পর্কে যাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে তারা কখনও পোর্তোর মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে চাইবে না। কঠিন একটা ম্যাচ খেলতে চলেছি। চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার।’’
সালাহকে নিয়ে সমালোচনায় যে তিনি একেবারেই খুশি নন, আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। ক্লপের কথায়, ‘‘টানা আটটি ম্যাচে সালাহ গোল করতে পারেনি বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি ওর ফর্ম নিয়ে কখনওই উদ্বিগ্ন ছিলাম না। সালাহ নিজেও তা নিয়ে চিন্তিত ছিল বলে মনে হয় না।’’
পোর্তোর বিরুদ্ধে গত মরসুমে দুরন্ত জয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন সাদিয়ো মানে। হ্যাটট্রিক করেছিলেন লিভারপুল তারকা। একটি করে গোল করেন সালাহ ও রবের্তো ফিরমিনহো। মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডেও আকর্ষণের কেন্দ্রে তিনি। সাদিয়ো বলেছেন, ‘‘আমার জীবনের অন্যতম সেরা রাত ছিল সেটা। তাই ওই হ্যাটট্রিকটা আমার কাছে অমূল্য।’’ তবে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারছেন না তিনি। বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলাটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার যন্ত্রণা কখনও ভুলতে পারব না। রিয়াল মাদ্রিদ যোগ্য দল হিসেবেই খেতাব জিতেছিল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ফাইনালের ব্যর্থতা থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তা কাজে লাগাতে চাই।’’