নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়া দেখছে মমতা-ম্যাজিক। এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলে বলে দশ গোল দেন মমতা। সে ব্রিগেডের জনসভা হোক কিংবা বাড়ির কালীপুজো। মমতার ফেসবুক লাইভে এলে হামলে পড়ে মানুষ। ভরিয়ে দেন লাইক, কমেন্টে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারেও উঠে আসছে একই ছবি। প্রচার সভার লাইভ ভিডিওতে মোদীকে কয়েক যোজন পেছনে ফেলে দিচ্ছেন মমতা।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
নির্বাচনী প্রচারে মমতা কী বলছেন, তা শুনতে জনতা চলে আসছেন মমতা-অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। মোদীর সভার থেকেও জনতার টান মমতার দিকেই বেশি। এর হাতেগরম উদাহরণ শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ও কলকাতা ব্রিগেডে মোদীর সভার সঙ্গে দিনহাটার সংহতি ময়দানে মমতার প্রচার সভা। মোদীর ভিডিও-র ভিউয়ারশিপ পৌঁছয় ১.৪৭ লক্ষে। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতার সভার ভিডিও-র ভিউয়ারশিপ ৩.৩৭ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। ভিডিও-তে ৮১০০ জন কমেন্টও করেন। শেয়ার করেন ৫,৭৫২ জন। এখানেই শেষ নয়। গত রবিবার কোচবিহারের জনসভার যে ভিডিও মোদী তাঁর ফেসবুক পেজে আপলোড করেছেন তা দেখেছে ৫১ হাজার জন। ঠিক একদিন পরে সোমবার মমতার কোচবিহারের জনসভার ভিডিওটি মমতার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেখেন লক্ষাধিক মানুষ। সংখ্যায় ১.২৪ লক্ষ জন। বোঝাই যাচ্ছে, মমতার জনপ্রিয়তা এখন বাংলা ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ক্ষেত্র সারা ভারত। কিন্তু একটি অঙ্গরাজ্যের প্রধান হয়েও মমতা যেভাবে মোদীকে টপকে যাচ্ছেন তাতে শুধু বাংলা নয়, দেশের মানুষের কাছে বাংলার অগ্নিকন্যার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার ছবিটাই স্পষ্ট হচ্ছে।
মমতার এই তুমুল জনপ্রিয়তায় ভর করেই এগোচ্ছে তৃণমূলও। ‘আরও একবার মোদী সরকার’ নামে বঙ্গ বিজেপি যে ফেসবুক পেজ তৈরি করেছে তাতে লাইক আছে ১২.৯১ লক্ষ। উল্টো দিকে এআইটিসি-অফিসিয়াল-এর ফেসবুক পেজ লাইক করেছেন ১৫.১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
[Total_Soft_Poll id=”3″]