নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায়। তার আগেই ইস্তাহার প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। বিগত কয়েক দশকের মতো এবারও বিজেপির ইস্তাহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রামমন্দির। গুরুত্ব পেয়েছে নাগরিকত্ব বিল, নাগরিকপঞ্জী এবং অনুপ্রবেশ। তবে মোদী আছেন একইরকম। এই জনসংখ্যার এই দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের ইস্তাহারে গুরুত্ব পায়নি কর্মসংস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৪৫ পাতার ইস্তাহারে গুরুত্ব পেয়েছে কেবল ধর্ম ও ধর্মান্ধতা। ইস্তাহার প্রকাশ করে মোদী বলেছেন, “আমাদের অনুপ্রেরণা জাতীয়তাবাদ, লক্ষ্য দুর্বলশ্রেণীর মানুষের ক্ষমতায়ন”।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
সত্যিই বিজেপি আছে বিজেপি-তেই। মানুষের অভাবপূরণ থেকে গুরুত্ব পেয়েছে মন্দির। দলীয় ইস্তাহারের প্রচ্ছদে মোদীর নিজের ছবি ছাপা হয়েছে। সেখানে নেই অন্য কোনো নেতার ছবি। এই ইস্তাহারে তুলে ধরা হয়েছে কেবল জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ব। কিছু জায়গায় রয়েছে বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন। ইস্তাহারে এবারের থিম ‘সংকল্পিত ভারত, সশক্ত ভারত’।
‘সংকল্পপত্র’ কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ” শান্তিপূর্ণ ভাবে দ্রুত রামমন্দির তৈরি করা হবে। সংসদে নাগরিকপঞ্জী পাশ করে তা কার্যকর করবে বিজেপি”। এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারেও রামমন্দির নির্মাণ, কাশ্মীরের ভারতভুক্তি ও স্বায়ত্বশাসন সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারার অবলুপ্তি, কাশ্মীরি পন্ডিতদের ফেরানো প্রভৃতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু একটিও পূরণ হয়নি। এছাড়াও মানুষকে চাকরি দেবার কথা বললেও তা দিয়ে উঠতে পারেনি মোদী সরকার।
[Total_Soft_Poll id=”3″]