বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বিজেপির এই অভিযোগ করে থাকেন যে, রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠে, বিরোধীদের পিছনে সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। মমতা যে ভুল কিছু বলেননি, তাঁর প্রমাণ মিলেছে ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই বিরোধী নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে শুরু হওয়া আয়কর হানা দেখে। তিনদিন ধরে আয়কর হানা চলছে মধ্যপ্রদেশের ৫০টির বেশি জায়গায়৷ লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি ও অফিস৷ ইতিমধ্যেই ২৮১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷
তবে এরই মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ তল্লাশি শুরু হওয়ার আগেই, সেই তল্লাশিতে কত টাকা বাজেয়াপ্ত হবে, তার পরিমাণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি! সোমবারই একটি টুইট করেন কৈলাস৷ সেখানে পরিষ্কার ২৮১ কোটি টাকার উল্লেখ রয়েছে! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। তল্লাশি শুরুর আগেই কীভাবে কৈলাশ বলতে পারেন ঠিক কত টাকা বাজেয়াপ্ত হবে? তবে কি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার কমল নাথ? উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
উল্লেখ্য, এ’দিন তল্লাশি করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি প্রবীণ কক্কড়ের ঘনিষ্ঠ অশ্বিন শর্মার বাড়িতে৷ গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি৷ সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ শুধু অশ্বিন শর্মা নয়, প্রবীণ কক্কড়ের ছেলে সলিলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ তবে গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন কক্কড়৷ তাঁর দাবি এটা আয়কর দফতরের নয়, রাজনৈতিক তল্লাশি৷ আধিকারিকরা কোনও আপত্তিজনক নথি বা গয়না উদ্ধার করতে পারেননি৷ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনও সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেনি তারা৷
উল্লেখ্য, কমল নাথ আগেই নিজেই সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন। আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ওই টুইটে যে বিজেপি ব্যকফুটে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করে টুইটটিও সরিয়ে ফেলা হয় তড়িঘড়ি৷ তাই দুয়ে দুয়ে চার করলেই বোঝা যায়, পুরো ঘটনাটাই আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিরোধীদের দাবি, ভোটের মুখে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। যার প্রমাণ মিলেছে বিজয়বর্গীয়র টুইটে। এই তল্লাশির পিছনে মোদী-শাহদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই মনে করছে তারা।
[Total_Soft_Poll id=”3″]