রায়গঞ্জের প্রচার মঞ্চ থেকে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে এক সারিতে দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস যে এককভাবে দিল্লীতে সরকার গঠন করতে পারবে না তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রায়গঞ্জের সভা থেকে অন্যান্য রাজ্যে গেরুয়া শিবির ঠিক কেমন ফল করতে পারে, তা নিয়েও কার্যত চ্যালেঞ্জ করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কোনও আসনে জয় তো দূরের কথা৷ নির্বাচনের পর অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে পারে গেরুয়া শিবির’।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
দ্বিতীয় দফায় আগামী ১৮ এপ্রিল রায়গঞ্জে ভোটাভুটি৷ তার আগে আজ মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রচারে এই নির্বাচনী জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী৷ মোদী সরকারের আমলে নোটবন্দী যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি, ফের সেকথা উল্লেখ করে এদিনের বক্তব্য শুরু করেন মমতা৷ মোদীর বায়োপিক থেকে গোরক্ষার নামে গণপ্রহারে খুন, পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলায় সেনা জওয়ানদের শহীদ হওয়া একের পর এক নানা ইস্যুতেই মোদীকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ উত্তরবঙ্গের একাধিক জনসভা থেকে বাংলায় বিজেপি হারবে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ কিন্তু এবার আর শুধু রাজ্য নয়৷ বাংলার ৪২টি আসনের বাইরেও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, গুজরাট, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু-সহ বাকি সবকটি আসনেই বিজেপি হারবে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ভোটের পর গেরুয়া শিবির ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে বলে বক্তব্য তাঁর৷
কংগ্রেস বিজেপিকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই গত পাঁচ বছরে দেশে বিজেপির এর বাড় বাড়ন্ত হয়েছে বলে মনে করেন মমতা। রাজ্যের নাম বদলের সিদ্ধান্তও যে কেন্দ্রীয় সরকার জন্যই আটকে রয়েছে তা নিয়েও এদিন রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখে দিয়েছে। বাংলার মানুষকে রক্ষা করা তো দূরের কথা তাঁদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চক্রান্ত করে চলেছে বিজেপি। গত পাঁচ বছরে বেকার সংখ্যা দুকোটি বেড়েছে’।
[Total_Soft_Poll id=”3″]