বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত ভোট প্রচারে বেরিয়ে রূপালি পর্দার দূরত্ব ঘুচিয়ে জনতার সঙ্গে ব্যবধানকে অনেক কমিয়ে ফেললেন। ভোট প্রচার ও জনসভার পর সমর্থকদের আবদারে সব ক্লান্তি ভুলে গানও গাইলেন তিনি। তুললেন সেলফি। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে করলেন খুনসুটি, প্রচারের ফাঁকে দিলেন আড্ডা, দোলনায় চড়া, সাংবাদিক সম্মলেন প্রভৃতি করে সারলেন তাঁর ভোট প্রচার। সারাদিন হালকা মেজাজে থাকলেও সভামঞ্চে বক্তৃতায় ঝাঁঝাল বক্তব্য বুঝিয়ে দিল নুসরতের রাজনীতির বোধ। বোঝা গেল প্রথম দু–দিনের তুলনায় এখন তিনি নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছেন নির্বাচনী ময়দানে। কাউকে এক বিন্দু জমি ছাড়তে তিনি রাজি নয়।
রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নুসরত প্রচারে বেশি বলছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পেরই কথা। তিনি বলছেন, “মোদী কন্যাশ্রীকে কপি করে ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’ করেছে। তাতে আমাদের কটা বেটি পড়ল, আর কটা বেটি বাঁচল কিছুই জানতে পারলাম না”। ১৫ লক্ষ টাকার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী এক কাপ চা খাওয়ার পয়সাও দেননি। উল্টে নোটবন্দি করে মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নিয়েছেন”। নুসরত জানিয়েছেন, “ইছামতীর ধারে অপূর্ব দৃশ্য আমাকে দারুণ আকর্ষণ করেছে। কলকাতার গঙ্গার পাড়ের মতো সাজানো যাবে ইছামতীর তীর। সুন্দরবন, বাংলাদেশ সীমান্তের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় জড়িয়ে বসিরহাটের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে”। প্রচারের পর মধ্যমপুর স্কুল মাঠে সভা করেন নুসরত, সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
নুসরতের প্রচার শুরু হয়েছিল টাকি থেকে। নুসরতের সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রিঙ্কু দে দত্ত, বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। নুসরতকে সামনে দেখতে পেয়ে উসখুস করছিল ক্লাস টুয়ের স্মৃতি দাস। তাঁর একটা সেলফি চাই। দেখতে পেয়ে নুসরত তাকে একেবারে কোলের কাছে ডেকে নিয়ে সেলফি তুলে আদর করে দিলেন।