ভোটের মুখে ভোলবদল নীতিন গাডকরির৷ মোদীকে ঠেস দিয়ে নীতিন বললেন, “গত পাঁচ বছরে সরকার কী কাজ করেছে তার ভিত্তিতেই ভোটারদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
গাডকরি বললেন, “ভোটের সময় পরীক্ষা হয়, শাসক দল কেমন সরকার চালিয়েছে। পাঁচ বছরের কাজের ভিত্তিতে তার মূল্যায়ণ হয়। মানুষ যদি মনে করে আমরা ভালো কাজ করতে পারিনি, অন্য দল সুযোগ পাবে। আমি নিছক ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতি করি না। আমি বিশ্বাস করি, সমাজের কল্যাণ করাই রাজনীতির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আমি কখনও জাতপাতের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করিনি। স্বজনপোষণও করিনি। আমি জাতি, ধর্ম, ভাষা বা দল না দেখে সবার জন্য কাজ করি। আমি মনে করি, মানুষে মানুষে চিন্তাভাবনার ফারাক থাকতেই পারে। কিন্তু বিভেদ থাকা উচিত নয়”৷
একটি সমীক্ষা বলছে, বেকারত্বে জেরবার মানুষ নরেন্দ্র মোদীর ওপর আস্থা হারিয়েছেন। মোদীর সরকারের প্রত্যাবর্তন হোক, কোনওক্রমেই চান না। জানা গেছে, কর্মসংস্থানের অভাবই এবার লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে জ্বলন্ত ইস্যু। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতা জানিয়েছেন, দেশের আর্থিক ব্যবস্থা পীড়াদায়ক। মোদী ক্ষমতায় আসার আগে বরং ভাল ছিল। ৫১ শতাংশ জানিয়েছেন, বেতনের যা কাঠামো তাতে সংসার চালানো দায়। ন্যূনতম প্রয়োজনই মেটে না। ৪৭ শতাংশ স্নাতক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরের চাকরি পাওয়া দুষ্কর হয়েছে। আগে এতটা ছিল না। প্রশ্ন ছিল, মোদীর আমলে কর্মসংস্থান বেড়েছে না কমেছে? বেশি সংখ্যক উত্তরদাতা জানিয়েছেন, অনেক কমেছে৷ সব মিলিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে মোদী৷