কোচবিহারের জবাব এল ময়নাগুড়ি থেকে। নরেন্দ্র মোদীকে জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর উদ্দেশ্যে স্লোগান তুললেন, ‘মানুষ মেরে মানুষ প্রেম, বিজেপি তোমায় শেম শেম’। সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করে বললেন, ‘অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এমন নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী আগে কখনও দেখিনি’।
ভোটের মরসুমে রাজ্যে প্রচারে আসার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ করেন মমতা। মুখ খোলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়েও। মমতা বলেন, ‘সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হানা দেওয়া হচ্ছে।’ রাজ্যে কোনও ভাবে এনআরসি চালু করা যাবে না বলেও নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সাফ বলেন, ‘বারাণসীর গঙ্গা পরিষ্কার করতে পেরেছেন? গঙ্গার দিকে তাকাচ্ছেন?’ বাংলার নামবদল আটকে রেখেছে ওরা, উত্তরবঙ্গে এসে মোদী নাটক করছেন বলেও তোপ দাগেন মমতা।
একইসঙ্গে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি নিয়েও এদিন মোদীকে চাপে ফেলে দেন মমতা। মুকুল রায়ের নাম না করে বললেন, ‘চিটফাণ্ড কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, মাথাকে এখন পাশে নিয়ে মিটিং করছেন মোদী। আবার মুখে বড়বড় কথা’। মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘পাহাড়ে যাঁরা দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল তাঁরাই আজ বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। এখন প্রচারে এসে মোদীবাবু বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন’।
মোদীর উত্তরবঙ্গ প্রচারকে একহাত নিয়ে মমতার প্রশ্ন, ‘যখন পাহাড় অশান্ত ছিল তখন তিনি কোথায় ছিলেন?’ কটাক্ষ করে বলেন, ‘বসন্তের কোকিল এসেছে। বসন্ত চলে গেলেই চলে যাবে’। মমতার কথায়, ‘পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়েছে তৃণমূল সরকার। জলপাইগুড়িতে সার্কিট হাউস তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে যা পাননি তৃণমূল সরকার তা করেছে। বিনামূল্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে’। মোদীকে মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর সাতটি চা–বাগান অধিগ্রহণ করবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখনও একটিও চা–বাগান কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করতে পারেনি।’
