বৃহস্পতিবার বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠে কর্মীসভা করলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এর আগে তিনি ভোটারদের জল-নকুলদানা দেওয়ার কথা বলেছেন। এই সভায় তিনি আনলেন শলাকা তত্ত্ব। তাঁর কথা শুনতে সভায় উপচে পড়ে ভীড়।
বৃহস্পতিবার বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠে ভিড়ে ঠাসা জনসভায় অনুব্রত বললেন, ‘অনেক হয়েছে, এবার ভোটের দিন শলাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে দলের কর্মী–সমর্থকেরা।’ সাংবাদিকরা তাঁর এই শলাকার ব্যাখ্যা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিকশনারি খুলে দেখে নিন শলাকার মানে কী? উল্লেখ্য শলাকার অর্থ ধুপকাঠি, যে কোনও শুভ কাজে ধুপকাঠি দেখানোটা বাংলা ও বাঙালি তথা ভারতীয়দের একটা সংস্কৃতি।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার ষোল লক্ষ তিরাশি হাজার। এদিন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম এবং বিজেপি–কে বিঁধতেও ছাড়েননি তিনি। রামচন্দ্র ডোমের উদ্দেশে বলেন, ‘কুঁজোর আবার শখ হয়েছে চিৎ হয়ে শুতে!’ বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাসের ঢোল বাজানোকে কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূলের বিজয় মিছিয়ে ওকে ঢোল বাজাতে হবে।’
সব মিলিয়ে খোস মেজাজে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠ ও নানুনের খুঁজুটিপাড়ায় জনসভা করেন অনুব্রত। সুচপুর লাগোয়া খুঁজটিপাড়ার বাজারের মাঠে দাঁড়িয়ে অনুব্রত জানালেন, আজ এই যে হাজার হাজার মানুষ এখানে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার জন্য, একদিন এই সুচপুরেই ১১ জনকে খুন করে সিপিএম সকলকে মুখবন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেদিন এই এলাকারা মানুষ দলে দলে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। আজ আবার প্রমাণ করে দিতে হবে এখান থেকে একটাও ভোট যেন বিরোধী না পায়। বসতে দেবেন না। জল চাইলে জল দিন কিন্তু ভোট দেবেন না। দুটি সভাতেই উপস্থিত ছিলেন সহ–সভাপতি অভিজিৎ সিনহা এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁরা বক্তব্যও পেশ করেন।
জনসভায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘ছাপান্ন ইঞ্চি বুকের ছাতিতে যদি সাহস থাকে তাহলে বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে প্রমাণ করুক তিনি সত্যিই চৌকিদার।’ অনুব্রতর হুমকি ‘দাঁড়ালে ছয় লক্ষ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ তিনি বলেন, ‘কোনও কিছু না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোরেই ভোট হবে, কাউকে ভয় করবেন না, আপনারা জানেন কীভাবে ভোট করতে হয়, সেইভাবে ভোট করুন, প্রয়োজনে যা করার তা করুন, জেতার জন্য নয়, মার্জিন বাড়াবার জন্য যা ভোট পড়বে তার মধ্যে বারো লক্ষ ভোট নিতে হবে।”