লোকসভা ভোটের বাকি মাত্র হাতে গনা কয়েকটা দিন। ভোট প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল। তবে বিজেপি ও কংগ্রেস, দুই দলই চেষ্টা করছে ভোটারদের বোঝাতে যে, ‘নান অফ দ্য অ্যাবাভ ( নোটা )’-এ ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না। তবে নোটাতে কি ভয় পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি? শেষ কয়েক বছরের ট্রেন্ড কিন্তু সে কথাই বলছে।
নোটাতে যাতে ভোট বেশি না পড়ে, তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আরএসএস-এর মুখপাত্র রাজীব টুলি জানিয়েছেন, “আমরা প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ করছি, যাতে সবাই ভোট দেন। নোটাতে কোনও ভোট না পড়ে।” চোদ্দর লোকসভা ভোটে নোটাতে মোট ৬০ লক্ষ ভোট পড়েছিল, যা মোট ভোটের প্রায় ১.০৮ শতাংশ। এর পরিমাণ এ বার আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রথম এই নতুন অপশন আসে ভোটিং মেশিনে। কোনও ভোটারের যদি সেই কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না হয়, তাহলে তিনি নোটায় ভোট দিতে পারবেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের অধিকর্তা অনিল বর্মা জানিয়েছেন, “নোটার চাহিদা বাড়ছে। গত কয়েক বছরের নির্বাচনেই দেখা যাচ্ছে ট্রেন্ড। ভোটারদের মনোভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে, দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি সাধারণ মানুষ বিরক্ত। নোটাতে ভোটের পরিমাণ উনিশের লোকসভায় আরও বাড়তে পারে”। বিজেপি এই বিষয় নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে। এমনিতেই দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে। তারপরেও যদি ভোট নোটায় পড়ে, তাহলে বিজেপি বিপাকে পড়বে। তাই বার বার বিজেপির তরফে জানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেন নোটাতে ভোট না দেয়।