মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। প্রথম থেকেই প্রচারে ঝড় তুলছেন যাদবপুরের এই তৃণমূল প্রার্থী। বিপুল জনসমর্থন বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ তাঁকে গ্রহণ করেছেন, তিনি হয়ে উঠছেন সকলের ঘরের মেয়ে।
মিমিকে সামনে রেখে ভাঙড়ের প্রতিটি গ্রাম, পাড়া ও অলিগলিতে প্রচার করে ভোটারদের মধ্যে তাঁর সম্পর্কে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এজন্য প্রার্থীকে এবার বেশি সময় দিতে হচ্ছে ভাঙড়েই। সেইমতো ভাঙড়ের বিভিন্ন গ্রামে পর পর প্রচার থেকে রোড শোয়ের কর্মসূচিও তৈরি হয়েছে। ভাঙড়ের যেখানেই যাচ্ছেন, সকলে ভীড় করে আসছেন তাঁকে দেখতে।
সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, এবার তাঁর তত্ত্বাবধানে ৪টি লোকসভা কেন্দ্র যাদবপুর, জয়নগর, মথুরাপুর ও ডায়মন্ডহারবার থেকে বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেশি লিড নিয়ে জিতবেন দলের প্রার্থীরা। যাদবপুর কেন্দ্রের মধ্যে ভাঙড় থেকে সবচেয়ে বেশি লিড পাবে বলে দল আশা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর কেন্দ্রে মিমি চক্রবর্তীর মতো একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে দিয়েছেন। যা নিয়ে আম-জনতার মধ্যে প্রবল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। যাদবপুর কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে সব জায়গাতে পুরো প্রচারে আলো তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে। সেখানে বিরোধী দলের কেউ ধারেকাছে নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ভাঙড়ের বামনঘাটা থেকে মিমিকে নিয়ে মিছিল বের হয়। এরপর ভাঙড়-১, ভাঙড়-২ এর ঢালিপাড়া, সর্দারপাড়া, পাচুরিয়া, হাটগাছা, হাতিশালাসহ কুড়ি থেকে পঁচিশটি গ্রামে কখনও পায়ে কখনও হুড খোলা জিপে করে রোদ চশমা চোখে প্রচার সারলেন মিমি। কোথাও কোথাও বাড়িতে ঢুকে ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে ভোট প্রার্থণা করলেন। কোথাও দাঁড়িয়ে মমতার সুরে উন্নয়ন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলেন। তাতে সব জায়গাতে উন্মাদনার একটা পরিবেশও তৈরি হয়ে যায়। অভিনেত্রী প্রার্থীকে একেবারে সরাসরি সামনে দেখার জন্য মহিলা, কিশোর, কিশোরী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলে ঘর ছেড়ে চলে এসেছিলেন রাস্তায়।