দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তাই জোরকদমে চলছে প্রচার। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন কোনও কিছুর সঙ্গে আপোষ করেননা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সৈনিকেরাও ঠিক তাঁরই পথের পথিক। তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার। কিন্তু শরীরকেও তো ঠিক রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে জল এবং ফলের ওপরেই ভরসা করছেন কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়।
চৈত্রের চড়া রোদে প্রচার চালাতে হচ্ছে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা বদলে গেছে তাঁর রোজের রুটিন। এই প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাও যে বড্ড জরুরি! পরিশ্রমী প্রচার আর সুস্থ শরীর— এ দুইয়ের তালমিল রাখতে রোজকার খাওয়াদাওয়ার তালিকায় বেশ কিছু বদল আনতে হয়েছে। মালা জানালেন, প্রচুর জল হালকা খাবার এবং ফলেই সুস্থ আছেন তিনি।
প্রচণ্ড গরমে তেতেপুড়ে টালিগঞ্জে বাড়ি–বাড়ি প্রচারের ফাঁকেই মালা বললেন, “ভোট বেশির ভাগ সময় গ্রীষ্মকালেই হয়। দিনের বেলা চড়া রোদ, প্যাচপেচে গরম। তার মধ্যেই চলে প্রচার। রোদ্দুরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে এমনিতেই শরীর গরম হয়ে যায়। ছোট থেকে এই সময়টায় শরীর ঠান্ডা রাখার কথা শুনে আসছি। তাই ডাবের জল, দই, যে কোনও রসালো ফল গরমের খাবারের তালিকায় রাখার চেষ্টা করি বরাবর। ফল খাওয়ার অভ্যেসটা রয়ে গেছে। আর এখন তো শরীর ঠিক রাখতে খাবারের তালিকায় ফল থাকেই! ভোট–প্রচারের জন্য সকাল–বিকেল দু’বেলাই বেরোতে হচ্ছে। খাবারের তালিকায় সহজপাচ্য, হালকা খাবারই রাখছি। কোনও দিনই মশলাদার খাবার খাই না। সকালে চা আর পাউরুটি টোস্ট। ব্রেকফাস্টের পর ফল খাওয়ার একটা অভ্যেস আছে। এখনও তাই ফল খেয়েই প্রচারে বেরিয়ে পড়ছি। দুপুর পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছি। দুপুরে একটু ভাত। সঙ্গে মাছের হালকা ঝোল, অল্প স্যালাড। আর শেষ পাতে দই–ভাত, মাস্ট!”
মালা আরও জানালেন, “ , দুপুরের খাবারের পর ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রাম নিয়ে তারপরে ফের বেরোই। বিকেলে সভা থাকে। প্রচারেও যাই। বিকেলের চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, হালকা স্ন্যাক্স খেয়ে নিই। তা সে প্রচারে বেরিয়ে বাইরে হোক বা বাড়িতে। রাতেও খুব হালকা তরকারি আর রুটি। সবজি হোক কিংবা মাছ–মাংস, সেটাও কম মশলায় রান্না হওয়া চাই। আর সঙ্গে সব সময় রাখি যথেষ্ট জল। এখন তো এলাকায় বাড়ি–বাড়ি ঘুরে প্রচার চালানো হচ্ছে। এর পর পদযাত্রা, রোড–শো হবে।”