নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করায় ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবির প্রযোজকদের আইনি নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিতর্ক জারি রইল এই ছবিকে ঘিরে। ট্রেলার মুক্তির পর তাতে গীতিকার জাভেদ আখতার ও সমীরের নাম থাকায় তা নিয়েও বিতর্ক হয়। দু’জনেই তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, ওই বায়োপিকের জন্য তাঁরা কোনও গান লেখেননি। পোস্টারে নিজের নাম দেখে গীতিকার জাভেদ আখতার সরব হয়েছিলেন তবে তাতে যে চিড়ে ভেজেনি তা আরও একবার স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন জাভেদ আখতার।
গত ২২ মার্চ টুইট করেছিলেন জাভেদ আখতার। নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের পোস্টারে গীতিকার হিসেবে ছিল তাঁর থাকায় বেজায় চটেছিলেন বলিউডের এই বিখ্যাত লিরিসিস্ট। সাফ জানিয়ে দেন, “এই ছবির জন্য কোনও গান আমি লিখিনি। পোস্টারে নিজের নাম দেখে অবাক হয়ে গেছি।” ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “ছবিতে পুরনো গানকে রিমেক করে ব্যবহার করা এখনকার ট্রেন্ড। হামেশাই প্রযোজকরা এমনটা করে থাকেন। তারপর ওই পুরনো গানের গীতিকারের নাম পোস্টারে দিয়ে দেন। অথচ তাঁরা এই রিমেক ভারসানে কাজই করেননি। এটা মোটেও ঠিক নয়। ন্যূনতম সততাটুকু থাকা উচিত।”
ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ছবির প্রযোজক সন্দীপ এস সিং টুইট করে লিখেছিলেন, “এই ছবিতে আমরা ‘১৯৪৭: আর্থ’ ছবির ঈশ্বর আল্লাহ গানটি ও ‘দস’ ছবির শুনো গওর সে দুনিয়া ওয়ালো গান দু’টি ব্যবহার করেছি। প্রথম গানটি লিখেছেন জাভেদ আখতার ও দ্বিতীয় গানটির গীতিকার সমীর। এই কারণেই আমরা দু’জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য তাঁদের নাম পোস্টারে দিয়েছি।” কিন্তু ছবির প্রযোজক যতই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের জন্য নাম ব্যবহারের কথা বলুন না কেন, এই যুক্তি মানতে নারাজ স্বয়ং জাভেদ। তাঁর কথায়, “ওঁরা যদি আমায় সম্মান দিতে চায়, তাহলে সুরকার হিসেবে এ আর রহমানের নামও রাখা উচিত ছিল। সেটা কেন বাদ দিল? ওঁকে কেন বঞ্চিত করল? এটা উচিত নয়। আর পোস্টারে আমার নাম দেখে মনে হচ্ছে যেন আমিই এই ছবির জন্য গান লিখেছি।”
অন্যদিকে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করায় ছবির প্রযোজকদের আইনি নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শুটিংয়ে রেলের কামরা জ্বালান-সহ নানা কারণে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হল। প্রসঙ্গত, ছবিটি ১২ এপ্রিল মুক্তি পাবে বলে আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ছবির মুক্তি বিশ বাঁও জলে৷