আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেবে জন বারলার নাম ঘোষণার পরই বেকায়দায় পড়েছিল জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ প্রথমত, ‘বহিরাগত’ বারলাকে প্রার্থী করায় হতাশ আলিপুরদুয়ারের কর্মী-সমর্থকেরা। দ্বিতীয়ত, খোদ বিজেপি কর্মীরাই মনে করছেন, এক সময় গুরুংয়ের সুরে সুর মিলিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা বারলা আদিবাসী, নেপালিদের ভোট পাবেন না। আর এবার দলীয় প্রার্থীলে নিয়ে আবারও বিপাকে গেরুয়া শিবির। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার জামিন নিতেই সময় চলে যাচ্ছে বারলার! ভোট প্রচারের সময়ই পাচ্ছেন না তিনি!
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় তালিকাভুক্ত আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভোট হবে আগামী ১১ এপ্রিল। অর্থাৎ হাতে রয়েছে মাত্র ৭ দিন। এর মধ্যে নির্বাচনী নির্দেশিকায় ভোট প্রচার স্থগিত হতে চলেছে আগামী ৮ এপ্রিল। সেদিন বিকেল তিনটার পর ভোট প্রচার বন্ধ হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। সেক্ষেত্রে অঙ্কের নিয়মে ভোট প্রচার চলবে আর মাত্র ৫ দিন। এই পরিস্থিতিতে যেখানে তৃণমূল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ঝড় তুলেছে, সেখানে জন বারলার দিন কাটছে আলিপুরদুয়ার আদালত চত্বরেই। ভোট প্রচারের বদলে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে পুরোনো মামলার জামিন মঞ্জুর করাতেই।
আলিপুরদুয়ার আদালত সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের আমলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জন বারলা। তখন তিনি ছিলেন ডুয়ার্সের চা বলয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রথম সারির মুখ। সেই কেসের নিমিত্তেই বুধবার তিনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। যার ফলে ওদিন আর ভোট প্রচারে বেরানো হয়নি তাঁর। গতকাল কিছুটা বিমর্ষ হয়েই জন বারলা বলেন, ২০০৭ সালে বাম আমলে যে মামলা হয়েছিল। আজ সে কারণেই আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে, বারলা যখন জামিন নিতে ব্যস্ত, সে সময় তৃণমূলের দশরথ তিরকে সময় কাটালেন ভোট প্রচারে। মানুষের দরবারে ঘুরে ঘুরে ভোটের আর্জি জানালেন তিনি।