কিছুদিন আগেই থুতু কান্ডে নির্বাসিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের জবি জাস্টিন। তারপরেও লাল-হলুদ শিবির ছেড়ে যাননি তিনি। শোনা গেছিল পরের মরশুমেও ক্লাব বদলাবেন না তিনি। এমনকি এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে আচমকাই শোনা গেল লাল হলুদ নয়, এটিকেতে খেলবেন জবি।
বুধবার সকালে এটিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন আই লিগের সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতা। রেকর্ড অর্থে জবির তিন বছরের জন্য এটিকের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করে ফেলার পর ময়দান জুড়ে ফিরছে টোলগে ওজবের সই বিতর্কের স্মৃতি। সাত বছর আগে অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের সই নিয়ে কলকাতার দুই প্রধানের মধ্যে হয়েছিল দীর্ঘ টানাপড়েন। সেখানেও ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছিল ‘টোকেন’ আর মোহনবাগানের কাছে ছিল চুক্তিপত্র। লাল-হলুদ কর্তারা দাবি করেছিলেন, নতুন মরসুমে খেলবেন বলে টোলগে তাঁদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছেন। আইএফএ-র কোর্টে বল গড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টোলগে মোহনবাগানে খেলেছিলেন, তবে তাঁকে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
এবারেও কী হবে সেই ঘটনার প্রত্যাবর্তন? সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অপেক্ষা করছেন, বিনিয়োগকারীদের সবুজ সঙ্কেতের জন্য। সেটা পেলেই কাগজপত্র নিয়ে লড়াইতে নামবেন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘জবির টোকেন ক্লাবের কাছে আছে। শুনেছি পরের মরসুমে খেলবে বলে একটি চিঠিও নাকি ও কোম্পানিকে দিয়েছে। কিন্তু যত ক্ষণ না বিনিয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান আমাদের কিছু বলছেন, তত ক্ষণ কিছু করব না।’’ বিনিয়োগকারী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বললেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই। ই-মেল করে সংবাদ মাধ্যমকে সব জানাব।’’ রাত পর্যন্ত কোনও ই-মেল অবশ্য আসেনি।
দলের সেরা স্ট্রাইকার চলে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের কোনও হেলদোল নেই দেখে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে তীব্র ক্ষোভ। ফুটবলার বিভাগের এক কর্তা বললেন, ‘‘জবি তো তিন মাস আগে থেকে থাকার জন্য ওদের ফোন করছে। ওরা যদি গুরুত্ব না দেয় তা হলে এ রকমই হবে। এক এক করে ফুটবলার চলে যাবে অন্য দলে।’’ জবিকে সই করিয়েছেন, ওর থেকে কি টোকেন নিয়েছেন? প্রশ্ন শুনে এটিকের এক কর্তা আকাশ থেকে পড়লেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘টোকেন? সেটা আবার কী? জবির সঙ্গে চুক্তি করেছি আমরা। সেই চুক্তির কপি লিগ কমিটিকে পাঠিয়ে দিয়েছি। এটাই তো আইএসএলের নিয়ম।’’