দিনহাটার সভা থেকে ব্রিগেডে বিজেপি–র ‘হ্যাঙার’ সমাবেশকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘টাকার হাঙর এখন হ্যাঙারে মিটিং করছে। ২৩ তারিখের পর হ্যাঙারের ভিতর ঢুকে যাবেন। বাংলার সাথে পাঙ্গা নিয়ে লাভ নেই। আগে দিল্লি সামলা, পরে বাংলা দেখিস।’
এদিন সভাস্থলে পৌঁছতে প্রায় ৪০ মিনিট দেরি হয়ে যায় মমতার। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৪০ মিনিট আমরা আটকে থেকেছি। কেন আটকে থেকেছি আমরা জানি। আপনাদের মিটিংকে কেন্দ্র করে রাস্তা বন্ধ, আকাশ বন্ধ, পরিষেবা বন্ধ। এটা ঠিক নয়। ভারতে কী শুধু একজনের নিরাপত্তা আছে?’
কোচবিহারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহারে আগে কিছু ছিল না। এখানে আগে কোনও উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে এই অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পড়ুয়াদের ২ কোটি টাকা অর্থসাহায্য করেছি। সবুজসাথী সাইকেল পেয়েছে প্রায় ১ কোটি পড়ুয়া। ২ টাকা কিলো চাল ৯৮ শতাংশ মানু্ষ পান। ছিটমহলের সমস্যা আমরা মিটিয়েছি।’
এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আর প্রধানমন্ত্রী বলব না, এই সরকারের এক্সপায়ারি শেষ। তাই এখন থেকে ‘এক্সপায়ারি বাবু’ বলব। ক্ষমতা থাকলে আমার সঙ্গে বিতর্কে আসুন। আপনি প্রশ্ন করবেন, আমি উত্তর দেব।’ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘চৌকিদার এখন মিথ্যাচার করে লাভ নেই। গায়ের জোরে মিথ্যা কথা বলছেন এক্সপায়ারি বাবু। রোজ মিথ্যা বলবেন না। এত মিথ্যা কথা বলেন, লজ্জা করে না? ছিঃ ছিঃ। এত মিথ্যে বললে মানুষই আপনাদের জেলে নিয়ে যাবে।’
যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদির সেনা দাঙ্গা করে, আর ভারতীয় সেনা কুরবানি দেয়। কেউ মোদি সেনা হতে চায় না। জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন আপনি? লজ্জা করে না? সবাই দেশের শত্রু, আর উনি দেশের মিত্র।’ এনআরসি প্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, ‘কিছু না করেই বলছে বাংলায় এনআরসি আনব। আগে বাংলায় কিছু তো পেয়ে দেখাক। এই সরকার ফের ক্ষমতায় এলে দেশে কারোর অধিকার থাকবে না। এরা সংবিধানটাই বদলে দেবে। কোনও ভোট থাকবে না।
