গোটা দেশ জুড়ে প্রবল ভাবে বইছে মোদী বিরোধী হাওয়া। সকলে ক্ষুব্ধ তাঁর ওপরে। সাধারণ মানুষের মনে যে তাঁকে নিয়ে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে পেরে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে মন দিয়েছেন মোদী। তাই নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আবার ক্ষমতায় এলে কি করবেন তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন। এরকমই এক সভা করেছিলেন অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে। এই সভা ঘিরেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল মোদীর বিরুদ্ধে। সভা ভরানোর জন্যে টাকা দিয় লোক আনা হয়েছিল, এক ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।
সাংবাদিক বৈঠকে একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, পাসিঘাটের সিয়াম গেস্ট হাউস থেকে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ তাঁর। রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের হলেও, এখনও পর্যন্ত এফআইআর দায়ের হয়নি। কোথা থেকে টাকা এলো এবং এই টাকা কালো না সাদা, তার অবিলম্বে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্রের কটাক্ষ, নির্বাচন কমিশন কি ঘুমিয়ে পড়েছে?
কংগ্রেস মুখপাত্র সুরজেওয়ালা কটাক্ষ করে বলেন “চৌকিদারই যে চোর, তা আরও একবার প্রমাণিত”। ভোটের আগে এত টাকা কোথা থেকে এল আর কেনই বা গেস্ট হাউসে রাখা ছিল প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়েও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মদতেই কালোটাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে তোপ কংগ্রেসের। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর ইস্তফারও দাবি তুলেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে আজকে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের হাজির করতে ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি! তবে, সভায় লোক আনতে চারটি ট্রেন ভাড়া করা হলেও একটি কামরাও ভর্তি হয়নি পুরো।