উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতীয় সেনাদের ‘মোদীর সেনা’ বলে সম্বোধন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রাক্তন সেনারা। বীর জওয়ানদের রাজনৈতিক লড়াই থেকে দূরে রাখার আর্জি জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ আধিকারিকেরা। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও লিখেছেন তাঁরা।
এক প্রাক্তন সেনা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য সেনাদের ব্যবহার করা খুবই লজ্জাজনক। দেশের সংবিধানে জোর দিয়ে উল্লেখ করা রয়েছে, ভারতীয় সেনারা স্বাধীন এবং অরাজনৈতিক। আদিত্যনাথের বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান লক্ষ্মীনারায়ণ রামদাস নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে ভারতীয় সেনারা কোনওভাবেই কোনও ব্যক্তির অধীনে ছিলেন না এবং নির্বাচনী বিধির মধ্যেও তাঁরা পড়েন না। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহন ভাণ্ডারি বলেন, ‘যখন আমি ৫০ বছর আগে সেনায় যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে আমরা অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এখনও সেটাই বলা হয়। কারণটা খুবই স্পষ্ট। আমাদের সেনা প্রধানই আমাদের বস। ব্রিটিশদের রীতি–প্রথাকেই ভারতীয় সেনা এখনও পর্যন্ত অনুসরণ করে চলেছে। সেনাবাহিনী কোনওভাবেই কোনও সরকার বা কোনও দলের অধীন নয়।’
প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান লক্ষ্মীনারায়ণ রামদাস আরও জানান যে দেশের সুরক্ষার জন্য কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই সেনা মেনে চলে। রাজনৈতিক সুযোগের জন্য সেনাকে ব্যবহার করা নিলর্জ্জতার উদাহরণ। কিছুদিন আগেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল রাজনৈতিক র্যালিতে। এরপর নির্বাচন কমিশনের নোটিস করে জানায় যে রাজনৈতিক প্রচারে সেনার ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
