হাতে বাকি আর মাত্র ৮ দিন। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। ভোটে জিততে এই মুহূর্তে গোটা গেরুয়া শিবির যখন মরিয়া হয়ে উঠেছে, তখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লোকসভা নির্বাচনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া গঠনের পক্ষেই রায় দেবেন গোটা দেশের মানুষ। মঙ্গলবার নবান্নে দাঁড়িয়ে এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আত্মবিশ্বাসী মমতা। তিনি বললেন, ‘কোনও অঙ্কেই আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারছে না। এই বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ব্যাপারে বিরোধীরা আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। আমার নিজের কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। অন্যদেরও কিছু আলাদা চিন্তাভাবনা রয়েছে। সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলগুলো এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করব। আমরা একটা অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করব। এই বিষয়ে আমি খুব পজিটিভ।’
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বরং বলেছেন, ‘আমরা ইস্তেহারে যা বলি সেটাই করে দেখাই। ২০১১ বা ২০১৪ বা ২০১৬ সালে যা বলেছিলাম, তাই করেছি। আপনারা আমাদের ইস্তেহার দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন।’ এরপরই নাম না করে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, ‘কার্যক্ষেত্রে সেটা সঠিকভাবে করে দেখানোটাই কাজ।’
গতকাল তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে সরকার চলবে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘মায়াবতীজির নিজস্ব মতামত আছে, অখিলেশের নিজস্ব মতামত আছে, দেবেগৌড়াজি, চন্দ্রবাবু নাইডুজি তাদেরও নিজস্ব মতামত আছে। আমি চাই সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে।’ অন্যদিকে, সোমবারই সেনাবাহিনীকে মোদীর সেনা বলে মন্তব্য করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও রাজনৈতিক নেতারই এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী সারা দেশের জন্য কাজ করে। আমি তাদেরকে স্যালুট জানাই। তারা নির্দিষ্ট কোনও একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে না।’ এরপরেই মমতার অভিযোগ, ‘বিজেপি এত ফ্যাসিস্ট হয়ে গিয়েছে যে কোনও সংস্থাকে নিয়ে ওরা এই ধরনের কথা বলে দিচ্ছে। যে যা মুখে আসে তাই বলে দিচ্ছে। একটা সীমা থাকা উচিত। ওরা সব সীমা পার করে দিয়েছে।’ এবং তাঁর মতে, এই কারণেই মানুষ আর বিজেপির প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। বদলে তাঁরা ইউনাইটেড ইন্ডিয়াতেই আস্থা রাখছেন।