মমতার উন্নয়নের রথ ধাবিত হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। সমতল থেকে পাহাড় সব জায়গাতে মানুষ উপকৃত হয়েছেন মমতার জন্যে। আলু চাষের জন্য উত্তরবঙ্গের মধ্যে বরাবরই বিখ্যাত ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি এলাকা। উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশের আলু উৎপাদন হয় এখানেই। তাই ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে সোজা একটি আলুখেতে চলে যান তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র।
বিজয় বলেন, ‘প্রচারের সময় গাদং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আলুখেতেও চলে গিয়েছিলাম। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয় এখানেই। তাই ধূপগুড়িতে এসে প্রচারে নেমে আলুচাষিদের সঙ্গে কথা হবে না, এমনটা হতে পারে না।’ বলেন, ‘আলুচাষ ও উৎপাদন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে চাষিদের সঙ্গে। এবছর আলু চাষ কেমন হয়েছে, দাম ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না, এই বিষয়গুলো নিয়েও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া কৃষকদের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা নিয়েও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
জঙ্গল এলাকায় কোনও বসতি থাকা চলবে না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এমন একটি রায়ে হতাশ জঙ্গলের বাসিন্দারা। ধূপগুড়ির খুকলুং বস্তিতে বিজয়চন্দ্রের প্রচারের সময় এই বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি তিনি লোকসভায় তুলে ধরবেন বলে জানান বিজয়চন্দ্র। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের চিত্র তিনি তুলে ধরেন তাঁদের কাছে।
ধূপগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন তিনি। এমনকী দলীয় কর্মীদের নিয়ে কয়েকটি ছোট ছোট সভাও সেরে নিয়েছেন। এছাড়া ঘুরেছেন ধূপগুড়ির শালবাড়ি, গাদং, খুকলুংবস্তি, খুট্টিমারি, ডাউকিমারি ও জলঢাকা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। সর্বত্রই জোরদার প্রচার চালিয়েছেন তিনি। কখনও তাঁকে দেখা যায় হাজারো সমর্থকদের নিয়ে ধূপগুড়ি শহরের রাস্তায় মিছিল করতে। কখনও দেখা গেল বাজার এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরে প্রচার চালাতে। আবার কখনও চাষের জমিতেও ঘুরে ঘুরে প্রচার চালিয়েছেন তিনি। ফেরার পথে বলেন, সবমিলিয়ে খুব ভাল প্রচার হয়েছে ধূপগুড়িতে। তাঁর প্রচারে সঙ্গী হয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মিতালি রায়, তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশকুমার সিং, তপন ভট্টাচার্য–সহ বিভিন্ন তৃণমূল নেতা।