দেশপ্রেম ও সেনাবাহিনীকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে বাধার সম্মুখীন হওয়ায়, ভোটের মুখে এখন যেন তেন প্রকারেণ নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। এই কারণেই ভারতের ‘মিশন শক্তি’ সফল হতেই তড়িঘড়ি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং এর পুরো কৃতিত্বটাই তিনি একা নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টোটা। ভোটের আগে মিশন শক্তি নিয়ে আপাতত কিছুটা বেকায়দায় বিজেপি৷ কারণ নাসা জানাচ্ছে, ভারতের মিশন শক্তি মহাকাশে প্রচুর আবর্জনা উৎপন্ন করেছে৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০টি আবর্জনা কক্ষপথে ফেলেছে মিশন শক্তি মিসাইল৷
ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান জানিয়ে ছিলেন, গত ৬ মাস ধরে চলছিল ‘মিশন মোড’। অর্থাৎ তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছিল। নির্ধারিত দিনে মিসাইলটি পরীক্ষা করতে ১০০ জন বিজ্ঞানী দিন-রাত কাজ করছিলেন বলেও জানিয়ে ছিলেন সতীশ রেড্ডি। সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে ওড়িশার বালাসোর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ওই মিসাইল। মাটি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে একটি অকেজো হয়ে যাওয়া স্যাটেলাইটে আঘাত করে সেটি৷ ভারতের এই পরীক্ষাকেই ‘ভয়ঙ্কর ব্যাপার’ বা টেরিবল থিং বলে ব্যাখ্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ কারণ মহাকাশচারীদের জন্য এই মিসাইলটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
জানা গেছে, প্রায় ৪০০টি আবর্জনা ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশে, যা তৈরি করেছে এই মিশন শক্তি৷ এর জন্য সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মহাকাশচারিদের৷ নাসা জানাচ্ছে, এই আবর্জনার কোনটিই আকারে খুব একটা বড় নয়৷ বেশিরভাগকেই চিহ্নিত করা যায়নি৷ তারই মধ্যে ৬০টিকে মিশন শক্তি দ্বারা উৎপাদিত আবর্জনা হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ যেগুলি কোনটিই ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বড় নয়৷ নাসার মুখপাত্র গোটা বিষয়টির নিন্দা করে বলেছেন এই ধরণের ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না৷ মহাকাশে আবর্জনা ছড়ানোর অর্থ ভবিষ্যতের গবেষণার পথ আটকে দেওয়া৷ এতে আগামীতে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে মহাকাশচারীদের৷ ফলে মিশন শক্তি প্রসঙ্গে প্রশংসার বদলে, একপ্রকার সমালোচনাই জুটেছে মোদীর কপালে। ভোটের মুখে নাসার এই বিবৃতি মুখ পুড়িয়েছে তাঁর।