নরেন্দ্র মোদী গত পাঁচ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি বলে বিরোধীরা প্রায়ই তাঁকে খোঁচা দেন। রবিবার চন্দ্রবাবু নায়ডুর আমন্ত্রণে বিশাখাপত্তনমে গিয়ে সেই সমাবেশ থেকে একই কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুলও কার্যত দিদির সুরেই তোপ দাগলেন মোদীর বিরুদ্ধে। রাহুল জানালেন, “ মোদী প্রশ্ন শুনতে ভয় পান”।
উনিশের ভোটে জিতলে কী করবে কংগ্রেস? মঙ্গলবার ইস্তাহার প্রকাশে এক, দুই, তিন করে সে কথা দেশের লোককে জানাবার পর, সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে ধরে ধরে উত্তর দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে উত্তর দেওয়ার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন তিনি। সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, “আমাকে তো এত প্রশ্ন করেন! আপনাদের সাহস নেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার। কারণ উনি প্রশ্ন শুনতে ভয় পান।”
সরকারে এলে গরিব পরিবারগুলিকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি কয়েক দিন আগে রাহুল দিয়েছিলেন তাও রয়েছে ইস্তাহারে । এবং এই ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদীর ঝটকা লেগে গিয়েছে বলে এ দিন কটাক্ষ করেন রাহুল। এ বার দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল। পারিবারিক ট্র্যাডিশনাল কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর পাশাপাশি কেরলের ওয়ানাড় থেকেও লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি। এ নিয়ে সোমবার মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের সভা থেকে রাহুলের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, “যে কেন্দ্রে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু, সেই কেন্দ্রে দাঁড়ানোর সাহস নেই রাহুল গান্ধীর।” এ দিন তার জবাব দিয়ে দিলেন সনিয়া-পুত্র। তিনি বলেন, “একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ভাবে হিন্দু কেন্দ্র, মুসলমান কেন্দ্র আলাদা করতে পারেন এটা বোধহয় মোদীর পক্ষেই সম্ভব।” তারপরই কংগ্রেসের অবস্থান ফের একবার ব্যাখ্যা করেন রাহুল। উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের মধ্যে বিজেপি বেড়া টানার চেষ্টা করছে। কিন্তু কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ ভারতের ধারণাতেই বিশ্বাস করে। এছাড়াও কেরালাতেও লড়ছেন রাহুল।