বাঙালি গোর্খাল্যান্ড চায় না। চায় বাংলা ও বাঙালি বিরোধী শক্তি এবং কিছু মহাবিশ্ব মানব। গোর্খাল্যান্ডের ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলেও আমি মনে করি না।
আমি গোর্খা জাতির উন্নয়ন চাই, আমি পাহাড়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন চাই। শেষ কয়েক বছরে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন হয়েছেও, আরও অনেকটা পথ পেরোতে হবে। পাহাড়ে কর্ম সংস্থান বাড়াতে হবে, গ্রাম এলাকায় রাস্তা ঘাট ও জলের সুব্যবস্থা করতে হবে, বর্তমান সরকার সদিচ্ছা ও কাজ দেখিয়েওছে। গোর্খাদের সর্বব্যাপী উন্নয়নের প্রশ্নে আমি বাংলার অতীত ও বর্তমান সরকারকে দোষ দিই কিছুটা। কারণ আমরা সবাই গোর্খাদের আপন করে নিইনি সেভাবে। সেটা অন্য প্রশ্ন।
এবার একটা কথা বলি উত্তর দিন তো। আসানসোলে হিন্দি/উর্দু ভাষী বাড়ছে। ২০ বছর আগে যা ছিল, শতাংশের হিসাবে নিশ্চয়ই অনেক বেড়েছে বহিরাগতরা। আগামী দশ বছরে আরও বাড়বে। কারণ বাঙালির ফার্টিলিটি রেট অনেক কম এবং পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে পিঁপড়ের মতো পিল পিল করে ঢুকছে বহিরাগতরা। আসানসোলের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির চালিকাশক্তি এখন বহিরাগতরা, গোবলয়ের কায়দায় দাঙ্গাও হয়েছে। কিছু বছর পর যদি তারা আসানসোলকে বিহারে জুড়তে চায় বা নতুন রাজ্য চায়- তাহলে কি তুমি সমর্থন করবে? বাঙালি মেনে নেবে? তাহলে তো বড়বাজার অন্য রাজ্য হবে একদিন।
তাই, গোর্খাদের উন্নয়ন চাইলেও গোর্খাল্যান্ডের ঘোর বিরোধী আমি। আমি বাংলা ভাগের যে কোনো প্রচেষ্টার পথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পক্ষে। হিংস্র আন্দোলন হলে তাকে সেভাবেই দমন করতে হবে।
বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে। সে কারণেই তারা গোর্খাদের সমর্থনে জেতে। ভোট এসেছে, আবার বাজার গরম হচ্ছে। যারা গোর্খাল্যান্ডের পক্ষ নিচ্ছে তারা সরাসরি বাঙালির শত্রু। বিজেপি আদর্শগত ভাবে সব সময়ই বাঙালি বিদ্বেষী। তাদের কাজকর্মে বাঙালি বিদ্বেষ ঠিকরে বেরোয়। তারা গোবলয়ের দল, তারা গরু-হনুমানের দল। চিন্তা ও চেতনায় বাঙালি কখনও বিজেপি হতে পারে না।
আমাদের এখন পরিষ্কার করে বুঝে নিতে হবে কারা গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে ও কারা বিপক্ষে। বাঙালিকে এই প্রশ্নে একজোট হতে হবে। বাংলা ভাগের কোনো রকম চেষ্টা হলেই যে কোনো মূল্যে বাঙালি বিরোধী শক্তি গুলোকে রাজনৈতিক ভাবে ধ্বংস করতে হবে। মাঝের কোনো রাস্তা নেই। আগামী লোকসভা নির্বাচন হোক, বাঙালির শত্রুদের রাজনৈতিক ভাবে নিকেশ করার নির্বাচন।
বাঙালি জোট বাঁধো, বাঙালি তৈরি হও। বারবার বাংলা ভাগ হয়েছে, আর না। এবার পালটা প্রতিরোধের সময়।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত