চোটের কারণে ক্রিস গেলের না খেলা নিয়ে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব-ভক্তদের মনে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে দিলেন প্রীতি জিন্টার দলের বোলাররা। ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার স্যাম কারেন একাই কাটিয়ে দিলেন সেই উদ্বেগ। ঋষভ পন্থ, কলিন ইনগ্রামের ঝড় থামিয়ে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করলেন। পঞ্জাব পেয়ে গেল অসাধারণ জয়।
ঘরের মাঠে দিল্লিকে ১৪ রানে হারিয়ে দিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। গত ম্যাচে সুপার ওভারে কলকাতাকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী ঋষভ পন্থরা ভালই রান তাড়া করছিলেন। কিন্তু ঋষভ পন্থ আউট হতেই দিল্লি ইনিংসে ধস নামে। শেষ ৭ উইকেট তারা হারায় মাত্র ৯ রানে। এই জয়ের পর ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হল পঞ্জাবের। তারা উঠে এল লিগ টেবিলের ২ নম্বরে। আর ৪ ম্যাচে খেলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পৃথ্বীশ (০)–র উইকেট হারায় দিল্লি। এরপর শিখর ধাওয়ান (৩০) ও শ্রেয়াস আইয়ার (২৮) দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন পন্থ (৩৯) ও কলিন ইনগ্রাম (৩৮)। কিন্তু মহম্মদ সামি পন্থকে বোল্ড করতেই দিল্লি ইনিংসে ধস নামে। পন্থ যখন ফিরে যাচ্ছেন, তখন দিল্লির রান ১৪৪/৪। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ১৯.২ ওভারে শেষ হয়ে যায় ১৫২ রানে। মাত্র ২.২ ওভারে ১১ রান দিয়ে স্যাম কুরান নিলেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিলেন অশ্বিন ও সামি।
প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দিল্লিকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ঋষভ পন্থ (২৬ বলে ৩৯) এবং কলিন ইনগ্রাম (২৯ বলে ৩৮ রান)। সেই অবস্থায় পঞ্জাবের উৎকণ্ঠা কাটিয়ে দেন অভিজ্ঞ মহম্মদ শামি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ঋষভকে ফেরান তিনি। হ্যারিসের কথায়, ‘‘ইনিংস ব্রেকে আমি বোলারদের বলে দিয়েছিলাম, ঋষভ অথবা ইনগ্রামের মধ্যে যে কোনও একজনের উইকেট নিতে পারলেই আমাদের পক্ষে জয় ছিনিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি ভেবেই রেখেছিলাম, কারেনকে পরের দিকে ব্যবহার করব। ওই সময়েই দিল্লি রান তাড়া করতে চাইবে। তখন ওদের সামনে কারেনই কাঁটা হয়ে উঠবে।’’ হতাশ দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘‘খুব বড় টার্গেট ছিল না। কিন্তু জয়ের মতো ক্রিকেট আমরা খেলতেই পারিনি। পিছিয়ে থেকেও পঞ্জাব পরের দিকে সমস্ত বিভাগে আমাদের ছাপিয়ে গিয়েছে।’