একেই বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব।
বাংলায় প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারে আগামী কাল বুধবার সকালে প্রথম সভা করবেন শিলিগুড়িতে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচবিহারের দিনহাটায় প্রচার শুরু করবেন মমতা। মোদীর সভা শেষ হলেই যাতে মমতার সভা শুরু হয়, তৃণমূল সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তার যোগ্য জবাব দেবেন মমতা।
মোদী শিলিগুড়িতে সভা করে চলে আসবেন কলকাতার ব্রিগেডে। এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যে সফর-সূচি জানা যাচ্ছে, তাতে শিলিগুড়িতে দুপুর ১টায় সভার পরে বিকেল তিনটেয় ব্রিগেডে সভা হওয়ার কথা মোদীর। অন্যদিকে, মমতা কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে দিনহাটা পৌঁছে বিকেল চারটে নাগাদ সভা করতে চান। তৃণমূল সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি এবং ব্রিগেডে মোদী যা বলবেন, প্রকাশ্য সভামঞ্চে তৎক্ষণাৎ তার ‘জবাব’ দেবেন মমতা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই ভাবে সময় স্থির করা হচ্ছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন মমতার কাছে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষার লড়াই। তাই দলীয় ইস্তেহারে দেশবাসীর কাছে সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন মমতা। একদিকে রাজ্যের পরিধির বাইরে বৃহত্তর সমাজে বিরোধী ঐক্যের প্রধান হিসাবে মমতার জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে বাংলায় বিজেপিকে সূচাগ্র জমি না ছাড়ার পণ করা তৃণমূল নেত্রী এখন বিজেপি তথা মোদী-শাহদের মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক দিন ধরে মমতা প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান জানাচ্ছেন মোদীকে। তিনি বলেছেন, যে কোনও মঞ্চ বা টিভি চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে বসতে তিনি রাজি। যদি মমতার সঙ্গে মোদী সরাসরি বসতে না চান, তা হলে অন্য কোনও বিরোধী নেতার সঙ্গে এই বিতর্কের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলেও তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাব। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, দলনেত্রীর এই প্রস্তাব মোদী মানবেন না, এটাই স্বাভাবিক। তাই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের সূচনাতেই মোদীর বক্তৃতার তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার রাজনৈতিক কৌশল নিচ্ছেন মমতা।
