এতদিন ‘সার্ভিস বুক’-এ লেখা থাকত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের চাকরি জীবনের তথ্য। সেই দিন শেষ হতে চলেছে। এবার তাঁদের জন্য চালু হচ্ছে ‘ই–সার্ভিস বুক’। ডিজিটাল উপায়ে সরকারি কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এভাবে খুব সহজে অনেক তথ্য জমা রাখে যাবে, শুধু তাই নয়, অনেক কম সময়ে এই কাজ করা যাবে এবং তথ্যগুলো যে সুরক্ষিত থাকবে সে বিষয়ে বলাই বাহুল্য।
এর আগে দেশকে পথ দেখিয়েছিল বাংলা। সরকারি কর্মীদের তথ্য ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজ সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। প্রশাসনে কোনও ভুয়ো কর্মী যেন না থাকে, তাই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি কোন দফতরে কত কর্মী রয়েছেন, কোথাও কোনও শূন্যপদ রয়েছে কি না, এমন তথ্য এখন সহজে পাওয়া যায়। প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, গতি আরও বাড়াতে এই উদ্যোগ। এই কাজ যথারীতি শুরু হয়ে গেছে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “নতুন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মীদের তথ্য আরও সহজে এবং সুরক্ষিত উপায়ে জমা রাখা যাবে। প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, গতিও বাড়বে”। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি সরকারি কর্মীর সার্ভিস বুক থাকে। এর এক কপি সরকারের কাছে থাকে, আর একটি থাকে সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাছে। এই সার্ভিস বুক থেকে কর্মীদের তথ্য ই–সার্ভিস বুকে তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ কাজ করার সময় সতর্ক থাকার কথা বলেছে প্রশাসন। নতুন ব্যবস্থায় ই–সার্ভিস বুকে তথ্য লেখার সময় সার্ভিস বুকের তথ্য যাতে ঠিক মতো মিলিয়ে নেওয়া হয় এবং তা যেন আপডেটেড থাকে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সার্ভিস বুক লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।