রবিবার ঘরের মাঠে অ্যানফিল্ডে শুরুর ছবিটা কিন্তু একেবারেই অন্যরকম ছিল। ১৬ মিনিটে রবের্তো ফিরমিনহোর গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ৭০ মিনিটে লুকাস মৌরা সমতা ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসব থেমে যায় অ্যানফিল্ডে। কারণ, ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে সরিয়ে ইপিএল টেবিলের শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করতে হলে জিততেই হত লিভারপুলকে। শেষ পর্যন্ত স্বস্তি ফিরল দোবির আত্মঘাতী গোলের পরে।
লিভারপুল সমর্থকেরা জয়ের উৎসবে মেতে উঠলেও ক্লপ একেবারেই খুশি নন। তাঁর কথায়, ‘‘কুৎসিত ভাবে জিতেছি আমরা। যে ভাবে গোল খেয়েছি, তাতে আমি অত্যন্ত হতাশ।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দটা হারিয়ে ফেলি।’’
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার আগে টটেনহ্যাম হটস্পারের দোবি অল্ডারওয়েল্ডের মাথায় লেগে বল যে জালে জড়িয়ে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি য়ুর্গেন ক্লপ। ম্যাচের পরে লিভারপুল ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘জয়সূচক গোলের পরেও আমি শান্ত ছিলাম। যে পরিস্থিতিতে গোলটা হল, তাতে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। কী ভাবে যে বলটা জালে জড়িয়ে গেল তা এখনও আমি বুঝতে পারছি না। আমার চোখ ছিল শুধু দোবির দিকে।’’
রবিবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতল চেলসিও। ঘরের মাঠে ৪৬ মিনিটে ভিক্তর কামারাসার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কার্ডিফ। ম্যাচ শেষ হওয়ার ছ’মিনিট আগে চেলসিকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন আথপিলিকোয়েতা। সংযুক্ত সময়ে জয়ের গোল লোফতাস চিকের। এই জয়ের সুবাদে ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলের ছয় নম্বরে রয়েছে চেলসি। এবং পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার কোনও সুযোগ নেই চেলসির।