এর আগে যেখানেই সভা করেছেন, সেখানেই গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে এবার শুধু আক্রমণেই থেমে না থেকে, বিজেপিকে ‘নিপাট শিশু’ বলে ব্যঙ্গ করলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মহেশতলার বাটানগর নিউল্যান্ড মাঠে বজবজ ও মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘যদি চৌত্রিশ বছরের সিপিএমকে গদিচ্যুত করতে পারি, পাঁচ বছরের বিজেপি তো নিপাট শিশু। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।’
গতকাল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে শুধু জিততেই আসিনি, সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসকে এখান থেকে গণতান্ত্রিকভাবে নিঃস্ব করতে এসেছি। আগামী ১৯ মে আপনাদের কড়ায় গন্ডায় সেই জবাবই দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ডায়মন্ড হারবার থেকে ছয়লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জিতব। গত পাঁচবছরে সাংসদ হিসেবে যা কাজ করেছি এমপি ল্যাডের নিরিখে তার ফল হিসেবে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বরে রয়েছে। এবার প্রতিদানের সময়। ২৩ মে ব্যালট ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট খুলবে। ভারতবর্ষের ৫৪৩ আসনের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার যেন এক নম্বরে থাকে। তারপর আগামী পাঁচবছর উন্নয়ন কাকে বলে দেখিয়ে দেবে।’
বিজেপিকে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোথাও প্রার্থী খুঁজে পেল না। সেই সুদূর বালুরঘাট থেকে প্রার্থী খুঁজে আনতে হল। ওঁকে বলির পাঁঠা করা হল। বেচারা, রাস্তা চিনতেই দু’মাস কেটে যাবে। রোদে পুড়ে কালো হয়ে ২৩ মে কেটে গেলে পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে আবার বালুরঘাট ফিরে যাবেন।’ তাঁর সাফ কথা, ‘সিপিএম যে কায়দায় রাজনীতি করত, বিজেপিও সেই কায়দায় রাজনীতি করছে। শুধু মিথ্যা আর ভাঁওতার রাজনীতি।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সেনা মারা গেলে আপনার মুখে কথা নেই, আর সেনা ভাল কাজ করলে আপনি ক্রেডিট নিচ্ছেন। বৈজ্ঞানিকরা ভাল কাজ করছেন, ক্রেডিট নিচ্ছেন আপনি। এটা খুবই দুঃখজনক।’
বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার লোকসভা কেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিতে চেষ্টা করেছিল, পারেনি। আবার এই চেষ্টা হলে এবার ওই সাম্প্রদায়িক অসুরগুলোকে বাড়িতে ঢুকিয়ে তালাচাবি মেরে রাখার ব্যবস্থা আমি ভালই জানি।’ এ প্রসঙ্গে সিপিএমকেও একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আফরাজুলকে যখন বিজেপি শাসিত সরকারের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জ্বলন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল তখন সিপিএমের ফুয়াদ হালিম, সুজন চক্রবর্তীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেননি, নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।’ এরপরই তাঁর ঘোষণা, ‘লড়ছে মমতা, দেখছে দেশ আর আগামী দু’মাসে মোদী শেষ। যদি চৌত্রিশ বছরের সিপিএমকে গদিচ্যুত করতে পারি, পাঁচবছরের বিজেপি তো নিপাট শিশু। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।’