কিছুদিন আগেই হেমা মালিনী জানিয়েছিলেন, মথুরার জন্যে তিনি নাকি এতই কাজ করেছেন যে তার ফিরিস্তি মনেই পড়ছে না। যদিও বাস্তব বলছে অন্য কথা। ভোটে জেতার পর থেকে সেইভাবে তাঁর দেখাই পাননি মথুরাবাসী। তার ওপরে এই মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ সবাই। তাই বলা চলে এবার কার্যত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নেমে পড়লেন হেমা!
জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও তাঁকে মানুষের ধারেকাছেও দেখা যায়না তাই মানুষের অসন্তোষের আঁচ বুঝে প্রথমদিন প্রচারে গিয়ে মহিলা কৃষকদের সঙ্গে ক্ষেত থেকে ফসল কাটছেন। তারপর সেই গমের আঁটি বেঁধে এক মহিলার হাতে তুলে দিচ্ছেন।তবে দেখনদারি এখানেই শেষ নয়। নিজের ইমেজ বজায় রাখতে এই সবকিছুর ছবি তুলে আবার টুইটারেও দিয়েছেন। এই ছবিগুলোর নিচে লেখা, “গোর্বধন ক্ষেত্র এলাকায় প্রচারের গিয়ে সেখানকার ক্ষেতে কর্মরত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলাম। এখানে আমার প্রথমদিনের প্রচারের সেইসব মুহূর্তের কিছু ছবি আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম।”
হেমা জানিয়েছিলেন, “মথুরায় আমি যেভাবে উন্নয়নের কাজ করেছি আগে তা কেউ করেনি।” যদিও মথুরা শহরের উন্নয়নের জন্য হেমা মালিনী কিছুই করেননি বলে দাবি করছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, “মথুরায় এলেই সোজা গেস্ট হাউসে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বেশি দেখা যায় হেমা মালিনীকে। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য যে প্রথর রোদের মধ্যে অনেক সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করে আছেন, তা নিয়ে মাথাই ঘামান না। এমনকী এই এলাকার জন্য কিছু করেননি তিনি। এইসব দেখার পরেও আমরা কী করে তাঁকে ভোট দিই? মথুরার মতো পবিত্র এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল দূরে থাক পর্যাপ্ত শৌচালয় পর্যন্ত নেই।”
কিছুদিন আগেই হেমা যখন বলেছিলেন, মথুরায় এত কাজ করেছেন তা মনেই পড়ছে না তাঁর, রীতিমত ক্ষব্ধ হয়েছিলেন সকলে। হেমা নিজেও বুঝেছিলেন তিনি বেফাঁস এবং ভুল মন্তব্য করেছেন। তাই নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে মাঠে নামা ছাড়া তাঁর আর উপায় ছিল না তবে তাঁর এই প্রচেষ্টা যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা স্পষ্টতই প্রমাণিত। কারণ শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, মথুরার মানুষই হেমার এই কাজকে ‘দেখনদারি’ বলছেন।