‘দেশের মা’ – এই শব্দেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ। হাতের সামনে মমতাকে পেয়ে তাঁরা উচ্ছ্বসিত। মমতার উদ্দেশ্যে আরও একটি শব্দবন্ধ ভাসিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সেটি হল ‘কিলার লেডি’। বিজেপিকে রুখতে জাতীয় স্তরে এই শব্দবন্ধ ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে তৃণমূল।
এদিকে হাতের সামনে মমতাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অন্ধ্রের মানুষ চাইছেন তিনিই প্রধানমন্ত্রী হন। যেমন কর্মসূত্রে অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা অরিন্দম সরকার। বঙ্গ রাজনীতি নিয়ে যথেষ্ট ওয়কিবহাল তিনি। তাঁর কথায়, ‘উনি (মমতা) ভাল কাজ করছেন। বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁকেই দেখতে চাই। ওনার মতো ‘কিলার লেডি’ জাতীয় স্তরে নেই’। অরিন্দম ছাড়াও অন্নপূর্ণা নগরের নাভাল ডকইয়ার্ড-এ বেশির ভাগ বাঙালি পরিবারের সদস্যরা নৌসেনায় কাজ করেন। তাঁরা মনে-প্রাণে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন।
জনসভায় মমতা বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিয়ে বিজেপিকে চিন্তা করতে হবে না। আমরা জানি কীভাবে দেশ চালাতে হয়’। অরবিন্দ কেজরীবাল, চন্দ্রবাবু নায়ডুর নাম তুলে মমতা জানান, তাঁরা সবাই নিজের নিজের রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে সরকার চালাচ্ছেন। মমতার কথায়, ‘আমরা মরব, তবু বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দেব না।‘ ‘২০১৯-বিজেপি ফিনিশ’ স্লোগানেও ঝড় তোলেন মমতা। তা দেখে অর্চনাদেবী বলেন, ‘এ জন্যই আমার দিদিকে ভাল লাগে। উনি ভাল কাজ করুন এটা আমরা চাই’। বিশাখাপত্তনমে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মমতার নামে স্লোগান তোলেন ভাইজ্যাগের বাসিন্দারা। মমতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান তাঁরা। পাল্টা সৌজন্য ফিরিয়ে দেন মমতাও। অন্ধ্র প্রদেশ থেকে এই প্রথম নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন মমতা। বিজেপিকে তুলোধনা করতে মমতার ভাষা প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়নি। তেলগু-বাংলা মিশিয়ে মমতা গর্জে ওঠেন, ‘মোদী হঠাও’, তত্ক্ষণাতৎ জনতা ফিরিয়ে দেয় ‘দেশ বাঁচাও’।
