লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততোই প্রকাশ পাচ্ছে বামেদের আসল রূপ। ভোট প্রচারে বেরিয়ে আবার আগের মতোই কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা শুরু করে দিলেন বাম প্রার্থীরা। এবার যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অসৌজন্যতার রাজনীতি দেখল সাধারণ মানুষ। রবিবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ‘চোর’ বলে বিতর্কের শিরোনামে বিকাশ! উঠেছে নিন্দার ঝড়।
গতকাল যাদবপুর কেন্দ্রের বোড়ালে প্রচারসভা সারতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটূ ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেন বিকাশ। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁকে সরাসরি ‘চোর’ বলতেও কসুর করলেন না এই প্রবীণ বামপন্থী রাজনীতিক। এভাবে কোনও প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ এনে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মতো পদাধিকারী একজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারেন তিনি, এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। এটা যে একপ্রকার মানহানিরই সামিল, তা ভাল মতো জানেন পেশায় আইনজীবী বিকাশও। যা নিয়ে কোনও হেলদোলই নেই তাঁর।
শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাকেও নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করেন বিকাশ। এমনকি জনতার রায়কেও অসম্মান করে তিনি এই দাবি করে বসেন যে, প্রলোভনে পড়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনে রাজ্যবাসীকে এখন পস্তাতে হচ্ছে। সিপিএম প্রার্থীর এই মন্তব্যের জেরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিকাশের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাকি সিপিএমকে ভোট প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাই যদি হয়, তাহলে তিনি নিজে যাদবপুরে এত নির্ঝঞ্ঝাটভাবে প্রচার করতে পারছেন কীভাবে?