এ রাজ্যে মানুষ খুব ভাল আছে। আইন-শৃঙ্খলার অবস্থাও ভাল। কিন্তু বিজেপি গুজব ছড়াচ্ছে। ওসবে যেন কান না দেয় কমিশন। দলের তরফ এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত বলেও দাবি করেছিল বাংলার শাসক দল। অবশেষে সোমবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়ে দিলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে তিনি সন্তুষ্ট। তবে বাংলার সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণার প্রয়োজন নেই৷
প্রসঙ্গত, বাংলায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করাতে কমিশন যে চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না, তা প্রথম দিন থেকেই জানাচ্ছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। স্পর্শকাতর রাজ্যগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য যে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভার নিয়োগ করা হবে, তা-ও তিনি অনেক আগেই জানিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক বাংলার জন্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। রবিবারই কলকাতায় এসে পৌঁছন তিনি। তারপরেই একে একে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূলের হয়ে দেখা করেন রাজ্য মন্ত্রী তাপস রায় এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।
সূত্রের খবর, কমিশনকে তাপসবাবুরা বলেন, বাংলায় নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছে বিজেপি। বাম, কংগ্রেসের সঙ্কট আরও তীব্র। তাদের আশঙ্কা, নিজেদের অস্তিত্বই বুঝি লোপ পাবে এবার। এই কারণেই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চলছে বলে ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক হিংসার দৃষ্টান্ত দিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনছে বিজেপি। অথচ বাস্তব হল, এ ব্যাপারে ওরা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও কোনও সুবিধা করতে পারেনি। ফলে কমিশন যেন কোনও পদক্ষেপ করার আগে সত্যতা যাচাই করে নেয়।
এরপরই আজ তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানান দুবে। এদিন বৈঠকের পর কেন্দ্রের এই বিশেষ পর্যবেক্ষক জানিয়ে দেন, রাজ্যের সমস্ত বুথ স্পর্শকাতর নয়। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন হোক।’ বিরোধীদের দাবি নিয়ে তিনি জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলি তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। আমি শুনেছি। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সবক্ষেত্রে ঠিক নয়।’