কোনও আত্মীয় বা পরিবারের কেউ ভোটে দাঁড়ালে পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁর হয়ে প্রচার করেই থাকেন। এমনকি ভোটের বাজারে প্রার্থীরা সকলেই প্রায় নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে ভোট-প্রচারে বেরিয়ে থাকেন। কিন্তু তাই বলে শিশুদের নিয়ে রাজনীতি করা বা রাজনীতির মধ্যে শিশুদের নিয়ে আসা অশোভনীয় বলেই মনে করা হয়। সে কাজটিই করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছোট্ট নাতনিকে নিয়েই। আর সেখানেই বিজেপি সভাপতি কিছুটা অপ্রস্তুতেই পড়ে গেলেন।
শনিবার ছিল তাঁর জীবনের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমেদাবাদে ভোট প্রচারে একটি মিছিলে নিজের নাতনিকে নিয়ে বেরিয়েছেন শাহ। সেখানেই নাতনিকে তিনি একটি গেরুয়া টুপি পরিয়ে দিতে যান। যে টুপি সাধারণত ভোট প্রচারে বিজেপি কর্মীরা পরে থাকেন। কিন্তু ছোট্ট নাতনি সেই পরতে অস্বীকার করে। মাথা থেকে খুলে দেয় সেই টুপি। অন্তত বার চারেক তো বটেই। চেষ্টা চলল তাকে গেরুয়া-সবুজ টুপিটা পরানোর। আর প্রত্যেক বারই প্রবল অনীহায় টুপিটা খুলে ফেলল সে। ওই ক্যাপের চেয়ে নিজের নীল-সাদা হ্যাটই তার বেশি পছন্দ। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে নাতনিকে বিজেপির প্রতীক আঁকা টুপিটা পরাতে না-পেরে শেষে হাল ছাড়লেন বিজেপির সেনাপতি।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কূটকচালি শিশুদের বোধগম্য না হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কী করা উচিত তা না বুঝেই অনেক সময় এমন আচরণ তারা করে ফেলে, যাতে মুখ পোড়ে তথাকথিত রাজনৈতিক বোদ্ধাদের! শিশুদের বালখিল্যতার জেরে পড়তে হয় চরম অস্বস্তির মুখে। এবার ঠিক যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন শাহ। গান্ধীনগরের প্রার্থী হিসেবে অমিতের মনোনয়ন পেশের দিনে খুদের এই কাণ্ড টিভিতে দেখল গোটা দেশ। যার পর খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিরোধীরা। শুধু তাই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের হাতে ট্রোলড-ও হতে হল মোদীর সেনাপতিকে।