মনখারাপের আবহ লাল হলুদ শিবিরে৷ নাম নথিভুক্ত করেও সুপার কাপে খেলবে না ইস্টবেঙ্গল৷ তাই বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাঁদের৷
এআইএফএফ ১২ এপ্রিল ভুবনেশ্বরে আই লিগ কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। যার চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। সুপার কাপের ফাইনালের আগের দিন এই সভায় আই লিগের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হবে। যে সমস্ত ক্লাব সুপার লিগে খেলছে না, তাদের কী ধরণের শাস্তি হতে পারে? সুব্রতর উত্তর, ‘এখনও আমি জানি না মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা কী? তবে সুপার কাপে না খেলা টিমদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রসঙ্গ তো থাকবেই। শাস্তি হতেই পারে। তবে সেটা জরিমানা না কী সাসপেনশন, সেটা এখনই বলা যাবে না।’
নাম নথিভূক্ত করেও না খেলা, যেটা ফেডারেশনের নিয়মে বেশি অপরাধ। শনিবার রাতে ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। যাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি নিয়মানুযায়ী ভুবনেশ্বরে হাজির ছিল। প্রাক ম্যাচ প্রেস মিটে হাজির ছিলেন দিল্লির সহকারি কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাদের একজন ফুটবলারও। ম্যাচ হবে ধরে নিয়ে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কয়েক জন লাল হলুদ সমর্থকও। দিল্লি টিম এ দিন মাঠে নামে। নামেন রেফারিও। ম্যাচ আয়োজনের তো বটেই এমনকী লাইভ স্ট্রিম করার ব্যবস্থাও করে রেখেছিল ফেডারেশন। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ওয়াক ওভার পেয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট একাদশকে খেলানোর দাবি জানালেও ফেডারেশন তাতে ছাড়পত্র দেয়নি। তারা নথিভূক্ত কোয়েস ইস্টবেঙ্গল টিমকেই মাঠে চেয়েছিল। ফলে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল না খেলায় চটেছে ফেডারেশন। ইস্টবেঙ্গলের মতোই হাল হবে চেন্নাই, নেরোকা, চার্চিল ব্রাদার্সেরও। যদি না তারা টিম নামায়।
ফেডারেশনের নিয়মানুযায়ী মোহনবাগানের শাস্তি হবে না। কারণ তারা টিমের নামই সুপার কাপে রেজিস্ট্রেশন করেনি। রবিবার তাদের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি ওয়াকওভার পেয়ে গিয়েছে ইতমধ্যেই। বেঙ্গালুরুকে মাঠে যেতেই হচ্ছে না৷