‘অলীক স্বপ্ন। বাংলা থেকে বিজেপি শূন্য পাবে। বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান অমিত শাহ জানেন না।’ শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পর ঠিক এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল শাহের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেহালায় দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে শাহকে কড়া জবাব দিয়েছেন পার্থ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
গতকাল শাহ দাবি করেন, বাংলা থেকে এবার তাঁরা ২৩টি আসন পাচ্ছেন। এর জবাবে পার্থ বলেন, ‘অলীক স্বপ্ন। বাংলা থেকে বিজেপি শূন্য পাবে। বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান অমিত শাহ জানেন না। ওঁকে একটি ভূগোল বই কিনে দেওয়া হোক।’ ফিরহাদ বলেন, ‘অমিত শাহ গুজরাত দাঙ্গার স্পেশ্যালিস্ট। এখানে এসে উস্কানি দিচ্ছেন। বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিই জানেন না। তাই তিনি কী বললেন, তা নিয়ে মানুষ ভাবে না। ওঁর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনি আগে দিল্লী সামলাক। তারপর বাংলা সামলাবে।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। ১৯-এ বিজেপি ফিনিশ।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বেনজির ভাবে আক্রমণ করেছেন শাহ। ক্ষুব্ধ পার্থ বলেন, ‘মমতার আন্দোলনের ইতিহাস বিজেপি সভাপতির জানা নেই। মমতার কোনও বিকল্প নেই। এত জনসমর্থন আর কোনও নেতার নেই। এ রাজ্যে কমল ফুটবে না। ওরা আর ফিরবে না। সুতরাং ওদের গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। ওদের আশা জাগিয়েও কোনও লাভ নেই।’ নাগরিকপঞ্জি নিয়ে শাহের করা মন্তব্যের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, ‘উনি একবার বলছেন, নাগরিকপঞ্জি হবে না। আরেকবার বলছেন, হবে। নিজেরাই ঠিক করতে পারছেন না।’
অন্যদিকে, ফিরহাদ বলেন, ‘আগেরবার নরেন্দ্র মোদী মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন, দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা, ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেবেন। কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি রাখতে পারেননি। শুধু ভাঁওতা দিয়ে গেছেন। একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি নিয়েছেন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘মোদী দেশকে সুরক্ষা দিতে পারছেন না। কখনও কোনও প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর কাজকর্মের গোপনীয়তা নিয়ে রাজনীতি করেননি। কোথায় কীভাবে আক্রমণ হবে, তা নিয়ে কেউই নির্বাচনে প্রচার করেন না। এই প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর গোপনীয়তা ভোটবাজারে বেচেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কোনও আইন থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’