জেতাটাই মূল লক্ষ্য নয় তাঁর। তাই হারার চিন্তাও করেন না তিনি। বিগত ৫ বছর ধরে দেশে অপশাসন চালানো বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলো তুলে ধরতেই এবার খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তেজ বাহাদুর যাদব। ২০১৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিম্ন মানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ তুলে নিজের ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে যাঁকে হারাতে হয়েছিল জওয়ানের চাকরি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে দেশপ্রেম ও সেনা-জওয়ানদের প্রতি দেশবাসীর ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টা করেছে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটেও সেনাদের প্রতি মানুষের আবেগকে অস্ত্র করছে মোদী-শাহরা। তবে ঠিক এই সময়েই সেনাবাহিনীর প্রতি বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার বিষয়গুলি তুলে ধরতে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন এক প্রাক্তন জওয়ান। যা মোদী-শাহদের কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেবেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, বারাণসী কেন্দ্র থেকেই মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন তেজ বাহাদুর। মূলত ভারতীয় আধা সেনার ক্ষেত্রে সরকারের যে সমস্ত ব্যর্থতাগুলি রয়েছে সেগুলি প্রকাশ্যে আনাটাই মূল লক্ষ্য তাঁর। তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাদের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সফলতার বিষয় তুলে ধরে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আদপে তিনি কিছুই করেন নি। পুলওয়ামার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তাঁর অভিযোগ, ৪০ জন জওয়ান মারা গেলেন, তাঁদের শহীদ সম্মানটুকুও দেয়নি মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার।
জানা গেছে, খুব শীগ্রই বারানসীর প্রাক্তন চাকুরীজীবি ও কৃষকদের নিয়ে প্রচার শুরু করবেন তেজ বাহাদুর। প্রচার অবশ্যই মোদীর বিরুদ্ধে। তিনি জানান, বহু দলই তাঁকে নিজেদের দলে আসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তিনি সতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ তিনি বর্তমান সরকারের দোষ – ত্রুটি গুলো জনতার সামনে আনতে চান। কোনও দলের সঙ্গে মিলে কাজ করলে তা সম্ভব হবে না। নির্বাচনে লড়ার বিষয়টি ঘোষণা করে নিজের টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রাক্তন জওয়ান হারতেও চান না , জিততেও চান না। ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর প্রতি সরকারের ব্যর্থতার বিষয়গুলো তুলে ধরতেই তাঁর নির্বাচনে লড়তে আসা।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভারতীয় সেনাদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এই প্রাক্তন সেনা জওয়ান। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। এবং তার জেরেই শেষে চাকরি যায় তেজ বাহাদুরের।