নির্বাচনী প্রচার সারতে দিল্লী থেকে উড়ে এসেছেন চা-বাগানে ঘেরা আলিপুরদুয়ার শহরে। কিন্তু চায়ের মহল্লায় দাঁড়িয়ে দেওয়া বড় বড় ভাষণেও চা শ্রমিকদের নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী জন বারলার হয়ে শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্বাচনী জনসভায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। যে লোকসভা কেন্দ্রের চুয়াল্লিশ শতাংশ ভোটার চা বাগানের বাসিন্দা এবং নির্ণায়ক শক্তিও বটে, সেই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে চা বাগিচার বাসিন্দারা তাঁর বক্তব্যে জায়গা না পেয়ে হতাশ।
শুধু তাই নয়, বক্তৃতার শুরুতে রাজবংশীদের কথা সামান্য উল্লেখ করলেও লোকসভা কেন্দ্রটির সিংহভাগ বাসিন্দা আদিবাসীদের নিয়ে কোনও কথা বলেননি অমিত শাহ। বরং দার্জিলিংয়ে গোর্খাদের উপরে রাজ্য সরকারের অত্যাচার নিয়ে অনেক বেশি মুখর ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আসলে বহিরাগত সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে সরিয়ে এবার সেখানে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে এক ভূমিপুত্রকে। সেই কারণেই যে গোর্খাদের উপর হামলার অভিযোগ এতটা গুরুত্ব পেয়েছে অমিতের ভাষণে, সে কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, গতকালের সভায় প্রায় এক লাখ লোকের সমাগম হবে বলে বৃহস্পতিবারও দাবি করেছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। কিন্তু মেরে কেটে হাজির হয়েছিলেন হাজার পঁয়ত্রিশ সমর্থক। যা নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতির সাফাই, ‘মাত্র দু-দিনের নোটিসে আমাদের এই সভার আয়োজন করতে হয়েছে। তাই গোটা মাঠ নেওয়া হয়নি সভার জন্য। যেটুকু এলাকায় সভা করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা ভরে গিয়েছিল।’ আসলে ওই সভায় সাধারণ বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে রাজবংশী, আদিবাসীদের উপস্থিতি নামমাত্র দেখা গেলেও গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই।