বিহারের পটনা থেকে দু’বার বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু বিজেপি তাঁর সেই আসনে এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে দাঁড় করিয়েছে। দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসে যোগ দেন শত্রুঘ্ন। এবার বাবার পাশে দাঁড়ালেন মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা। বাবার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে মেয়ে সোনাক্ষীর মন্তব্য, “যে দল যোগ্য সম্মান দেয়নি, সেই দল অনেক আগেই ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল বাবার”।
বিজেপির সাংসদ হলেও দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর ধারালো আক্রমণ থেকে বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। গুজরাতের গাঁধীনগর লোকসভা আসনে দাঁড়াতেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালাকৃষ্ণ আডবাণী। কিন্তু এ বার সেই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন অমিত শাহ। বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই অমিত শাহকে নিশানা করেন শত্রুঘ্ন। তাঁর অভিযোগ, প্রবীণ নেতাকে কোণঠাসা করতেই বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগা নয়, ব্রিগেডে তৃণমূল আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালির’ সভামঞ্চে হাজির হয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। সেই মঞ্চ থেকেও দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ ছুড়ে দেন তিনি। বার বার একই কাজ করায় দলের ‘রোষের’ মুখে পড়তে হয়। শেষমেশ দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বার বার ধারালো বাক্যে আক্রমণের জন্য রাজনৈতিক মহলে ‘শটগান’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদ।