শবরীমালা মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, মন্দিরে সবার প্রবেশাধিকার রয়েছে। সমতার দৃষ্টিতে মন্দিরে নিয়ম হওয়া উচিত। কিন্তু তারপরেও মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে অশান্তি অব্যাহত। এবং অশান্তির মূলে সেই বিজেপি। শবরীমালায় ঢোকার ‘অপরাধে’ ৫২ বছরের এক মহিলার ওপর হামলা চালিয়ে আটক হলেন কেরালার কোঝিকোড় লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেপি প্রকাশ।
২০১৮-র ৬ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে পাম্বা পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেন প্রকাশ। আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কোট্টারাখারা জেলে এই ১৪ দিন কাটাতে হবে তাঁকে। একটি শিশুর অন্নপ্রাশন (স্থানীয় ভাষায় চোরুনু) উপলক্ষ্যে পরিবারের সঙ্গে শবরীমালায় গিয়েছিলেন ললিতা। সেখানেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।কেপির বক্তব্য যে ললিতা নামের ওই মহিলাকে দেখে ৫০ বছর বয়স বলে মনে হয় না।
প্রকাশের বিরুদ্ধে আরও আটটি মামলা ঝুলছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই শবরীমালা সংক্রান্ত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কয়েক দশকের প্রাচীন প্রথা ভেঙে অবশেষে শবরীমালা মন্দিরের দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে প্রবেশ করতে সফল হয়েছিলেন ৫০ অনূর্ধ্ব দুই মহিলা। শুধু প্রবেশই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের যথার্থ মান রেখে ভগবান আয়াপ্পার মূর্তির সামনে পুজোও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপর থেকেই বিক্ষোভকারীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল কোর্টের রায়ের পরেও চিত্রটা সেই একই। ভোটের আগে এই ঘটনা আবারও অস্বস্তিতে ফেলে দিল বিজেপিকে।